কলকাতা: স্কুল খুলে গিয়েছে। বাচ্চারা হইহই করে স্কুলে যেতে শুরু করে দিয়েছে। করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতির পর স্বাভাবিক পর্যায় আসতে সময় লেগেছে অনেকটা। করোনা সংক্রমণের ভয় কাটিয়ে অন্য মানুষের সঙ্গে মেলামেশার ক্ষেত্রে বড়দের যেমন প্রস্তুতি নিয়ে হয়েছে, তেমনই বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও তাই। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বর্ষাকালে অনেক অসুখ বিসুখ হয়ে থাকে। ছোট থেকে বড় সকলেই বর্ষাকালের (Monsoon) অসুখে আক্রান্ত হয়। জ্বর, ঠান্ডা লাগা, সর্দি, কাশি, গলায় ব্যথার মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। তার উপর রয়েছে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কাও। এই সময়ে বাচ্চাদের (Kids Health) কোন কোন অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, কীভাবেই বা অভিভাবকেরা বাচ্চাদের এই সমস্ত রোগের হাত থেকে রক্ষা করবেন, সে সম্পর্কে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


বর্ষাকালে শিশুদের যে অসুখগুলো হতে পারে-


শিশু রোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বর্ষাকালে ভেজা স্যাঁতস্যাতে আবহাওয়ায় বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগার প্রবণতা অনেক বেশি থাকে। বৃষ্টিতে ভিজলে জ্বর, সর্দি, কাশি, গলায় ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও এই সময়ে খাদ্যাভ্যাসে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। মুখরোচক খাবার খাওয়ার প্রবণতা থাকে। জলবাহিত রোগ, মশার উৎপাত এসমস্ত কিছুর জন্য ঠান্ডা লাগা, জ্বরের পাশাপাশি ডায়রিয়া, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড, পেটের গোলমাল এবং আরও নানা অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বাচ্চাদের। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে বড়দেরই।


আরও পড়ুন - Raw Jackfruit: কেন খাবেন এঁচোড়? এর উপকারিতা সম্পর্কে জানা আছে?


বর্ষাকালে বাচ্চাদের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে বড়রা যা করবেন-


বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্ষাকালে বৃষ্টিতে ভেজা বাচ্চাদের অত্যন্ত পছন্দের। তাই এর ফলে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনাও অনেক বেশি থাকে। বৃষ্টিতে ভিজলেও বাড়ি ফেরার পর ফের একবার ভালো করে ঠান্ডা গরম জলে স্নান করিয়ে দেওয়া দরকার। এই সময়ে জল থেকে অনেক অসুখ হতে পারে। তাই এই সময়ে বাচ্চাদের জল ফুটিয়ে ঠান্ডা করে খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। খেয়াল রাখতে হবে বাড়ির আশেপাশে যেন কোনওভাবেই জল জমে না থাকে। তাতে মশার উৎপাত বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। ডেঙ্গি কিংবা ম্যালেরিয়ারও আশঙ্কা বাড়ে। বর্ষাকালে আরও বেশি করে মশারি টাঙিয়ে শোওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। মশা যাতে কামড়াতে না পারে, সেদিকে নজর দিন। চুল ভেজা অবস্থায় বাচ্চা যাতে ঘুমিয়ে না পড়ে, সেদিকে নজর দিতে হবে। এছাড়া খাবারের তালিকায় রাখতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার। তবেই এই সময়ে বাচ্চা থাকবে সুস্থ।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।