Turmeric Pieces In Lungs: একের পর এক হাসপাতাল ঘুরে চলেছিলেন ওই বৃদ্ধ। কিন্তু কিছুতেই সুরাহা হচ্ছিল না কাশির। শেষ পর্যন্ত পুনের ডিপিইউ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেখানেই চিকিৎসকদের চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে যায়। কারণ ফুসফুসে হলুদ জমে থাকায় শ্বাসকষ্ট, কাশি হচ্ছে অশীতিপর বৃদ্ধের। তাই দেখে চমকে ওঠেন চিকিৎসকরা। হলুদের ভাল গুণের পাশাপাশি এটি যে ক্ষতিকর হতে পারে সেই ব্যাপারে এই দিন সচেতন করলেন চিকিৎসকরা।
ঠিক কী ঘটেছিল ?
বছর ৮৫-র ওই বৃদ্ধ একের পর এক হাসপাতালে ঘুরে চলেছিলেন তার কাশির সমস্যার জন্য। পেশায় তিনি একজন কৃষক। কিন্তু কোনও হাসপাতালেই তার সমস্যার সুরাহা হচ্ছিল না। এই অবস্থায় তিনি ডিপিইউ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ডিপিইউ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পৌঁছান। সেখানে চিকিৎসক তাঁর সমস্যার কথা জেনে সিটি স্ক্যান করানোর পরামর্শ দেন। এই পরামর্শ অনুযায়ী সিটি স্ক্যানের পর দেখা যায়, বুকের মধ্যে একটি ২ সেমি লম্বা ও ১ সেমি চওড়া আস্তরণ পড়ে গিয়েছে। এটি দেখেই অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেওয়া হয়। এরপর অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে অস্ত্র পাচার করে ওই অপরিচিত জিনিসটিকে ফুসফুস থেকে বার করা হয়। প্রথমে রংটি হলুদ দেখলে কোনরকম সন্দেহ হয়নি চিকিৎসকদের। বৃদ্ধকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন প্রতিদিন শুতে যাওয়ার আগে একটি করে হলুদ তিনি মুখে রাখতেন। কাশির সমস্যার মেটানোর জন্য এমন পদ্ধতি অবলম্বন করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তার জন্যই প্রাণ সংশয় পরিস্থিতি হয় তাঁর।
হলুদ কি তবে বিপজ্জনক ?
চিকিৎসকের কথায় হলুদ বিপদজনক নয়। তবে ঘুমানোর সময় এভাবে হলুদ খেলে বিপজ্জনক পরিস্থিতি হতে পারে। এক্ষেত্রে তেমনটাই হয়েছে বলে জানান ডিপিইউ সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে ফুসফুস রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এম বার্তয়াল। তাঁর কথায়, ঘুমের সময় কোনভাবে শ্বাসনালির মধ্যে চলে গিয়েছিল হলুদের ওই অংশটি। যা জমে থাকার কারণে তীব্র শ্বাসকষ্ট এবং কাশির সমস্যা দেখা দেয়। তবে অস্ত্রোপচারের পরে অনেকটাই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ওই বৃদ্ধ। দীর্ঘ কাশির সমস্যাও দূর হয়েছে বলে জানালেন চিকিৎসক। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।