কলকাতা: পাতে গরম ভাতের সঙ্গে একটুকরো মাখন দিয়েছে। কিন্তু সেই মাখন মেখে খেতে গিয়েই জিভ অন্যকিছু বলল। বলল -  যা খাচ্ছ, তা ঠিক মাখন নয়। বলা স্বাভাবিক, কারণ ভেজাল। প্রায় সবেতেই ভেজাল যখন, মাখনই বা বাদ যায় কেন ? ফলে সেই স্বাদ যে পাবেন না, সেটাই স্বাভাবিক। তাহলে কী করবেন ? বাজার থেকে কেনার সময়ই দেখে কিনতে হবে। তাহলে আর ভয় নেই। বাজার থেকে কেনা মাখন পরখ করার বেশ কিছু উপায় রয়েছে। সেগুলি জেনে রাখলেই আর চিন্তা নেই।


১. আয়োডিন দ্রবণের পরীক্ষা - মাখনে অনেক সময় স্টার্চ মেশানো হয়। তাই কিছুটা মাখন নিয়ে তাতে আয়োডিন দ্রবণ মিশিয়ে দিন। দ্রবণের রং নীল হলে মাখন আসল নয়। এতে স্টার্চ ভেজাল মেশানো হয়েছে। এটি এফএসএসএসআই-এর স্বীকৃত পরীক্ষা।


২. মিউরিয়েটিক অ্যাসিড পরীক্ষা - মাখনের মধ্যে অনেক সময় হাইড্রোজেনেটড তেল মেশানো হয়। এছাড়াও, অন্যজাতের কিছু তেলও মেশানো হয়ে থাকে। এই তেল শনাক্ত করা যায় হাইড্রোক্লোরিক বা মিউরিয়েটিক অ্যাসিড দিয়ে। একটি কাচের সরু পাত্রে কিছুটা মাখন নিন। এতে কিছুটা এইচসিএল দিন। এর পর এক চিমটে চিনি দিয়ে নাড়িয়ে নিন মিশ্রণটি। মিশ্রণটি গোলাপি বা লাল হয়ে গেলে ওতে ভেজাল রয়েছে। নয়তো খাঁটি মাখন।


৩. কড়াইতে নিয়ে পরীক্ষা - সবচেয়ে সহজ পরীক্ষা। একটি কড়াই মাঝারি আঁচে উষ্ণ করে নিন। এবার এতে কিছুটা মাখন দিয়ে দিন। মাখন সঙ্গে সঙ্গে গলে খয়েরি হয়ে গেলে সেটি খাঁটি। আর তা না হলে ভেজাল রয়েছে তাতে। মাখন সাধারণ উষ্ণতাতেই গলে যায়। কিন্তু ভেজাল থাকলে ত সহজে গলতে চায় না।


৪. হাতে নিয়ে পরীক্ষা - ঘরোয়া উষ্ণতায় মাখন গলতে শুরু করে। খুব বেশি সময় নেয় না। তাই হাতে নিয়েও পরীক্ষা করতে পারেন। বিশুদ্ধ মাখন দ্রুত গলে যায়। ভেজাল থাকলে কিন্তু তা হবে না। 


৫. নারকেল তেলের পরীক্ষা - এর জন্য প্রথমে এক টুকরো মাখন নিন। এবার একটি কাঁচের পাত্রে নারকেল তেল নিয়ে তাতে মাখনের কিউব নিতে হবে। ডবল বয়েলার পদ্ধতিতে গোটা মিশ্রণটি গলিয়ে ফেলতে হবে। এবার এই অবস্থায় এটি ফ্রিজে রেখে দিন। ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পর সেখানে দুটি স্তর তৈরি হলে বুঝতে হবে মাখনে ভেজাল রয়েছে।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - Real vs Fake Paneer: ভেজাল পনির কিনে ঠকার দিন শেষ ! ৫ টিপস মনে রাখলেই খাঁটির স্বাদ পাবেন