কলকাতা: সমুদ্রতীরে ঘুরতে যাওয়া আর সামুদ্রিক নানা খাবার খাওয়ার দিকে অনেকের ঝোঁক থাকে। কেউ কেউ এই ধরনের খাবার অ্যালার্জির কারণে এড়িয়ে চলেন। কিন্তু অনেকেই সামুদ্রিক মাছ খেতে ভালবাসেন। সামুদ্রিক মাছের স্বাদ পেতেই কেউ কেউ পৌঁছে যান সমুদ্রতীরে। তবে এর মধ্যেও থাকতে পারে বিষ। সম্প্রতি শরীরের জন্য বিষ এমনই কিছু উপাদানের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা।
কেন ফরেভার কেমিকাল ?
বিশেষজ্ঞদের কথায়, চিংড়ি, কাঁকড়া, সালমন, টুনা ইত্যাদি সামুদ্রিক মাছের মধ্যে প্রি ও পারফ্লুওরোঅ্যালকাইল সাবস্টেন্স (সংক্ষেপে পিএফএএস) থাকে। এদেরকেই বিজ্ঞানীরা ফরেভার কেমিকাল বলে অ্যাখ্যা দিচ্ছেন। তাঁর কারণ এই ধরনের রাসায়নিক বিয়োজিত করতে পরিবেশের হাজার হাজার বছর সময় লেগে যায়। স্বাভাবিকভাবেই এই ধরনের রাসায়নিক শরীরের জন্যও বিপজ্জনক। আর এগুলিরই উৎস হল সামুদ্রিক খাবার যেমন বিভিন্ন মাছ ও পতঙ্গ।
কী বলছেন বিজ্ঞানীরা ?
ব্রিটেনের ডার্টমাউথ কলেজের অধ্য়াপকের সংবাদমাধ্যম আইএএনএস-কে বলেন, এই ধরনের রাসায়নিক শরীরে গেলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি। ডার্টমাউথ কলেজের জিসেল স্কুল অব মেডিসিনের এপিডেমিওলজির সহকারী অধ্যাপক তথা এই গবেষণার অন্যতম গবেষক জানালেন, সামুদ্রিক খাবার প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস। এই দুটি উপাদান আমাদের পেশি ও কোশ তৈরি করে, হার্ট ভাল রাখে। কিন্তু এর থেকেও ক্ষতিকর ওই ধরনের সামুদ্রিক খাবারে থাকা ‘চিরকালীন রাসায়নিক’।
কেন এই সতর্কতা ?
এই রোগগুলি নিয়ে সতর্কতার কারণও জানিয়েছেন গবেষক। তাঁর কথায়, বর্তমানে সামুদ্রিক খাবার নিয়ে যেই ধরনের সচেতনতা প্রচার করা হয়, তার পিছনে অন্যতম কারণ এই খাবারে থাকা পারদের পরিমাণ। কিন্তু সামুদ্রিক খাবারে পারদের থেকেও বেশি বিষাক্ত পদার্থ বর্তমান। আর তা হল পিএফএএস অর্থাৎ প্রি ও পারফ্লুওরোঅ্যালকাইল সাবস্টেন্স। গবেষকদের দাবি, খুব শিগগির সরকারের উচিত এই ধরনের খাবার নিয়ে গাইডলাইন অর্থাৎ নির্দেশিকা তৈরি করা। জনস্বাস্থ্য়ের জন্যই তা বিশেষভাবে জরুরি।
কোন কোন রোগের আশঙ্কা ?
এই ধরনের ‘চিরকালীন রাসায়নিক’ বা ফরেভার কেমিকাল বিয়োজিত হয়ে পরিবেশে মিলিয়ে যেতে হাজার হাজার বছর লাগে। পাশাপাশি এরা বেশ কিছু গুরুতর রোগের কারণ হতে পারে। এই তালিকায় রয়েছে —
- ক্যানসার
- কোলেস্টেরল
- লিভারের রোগ
- থাইরয়েডের সমস্যা
- সন্তানের অস্বাভাবিকতা
- প্রজননের সমস্যা
আর এই সব গুরুতর রোগ ঠেকাতেই সামুদ্রিক খাবার নিয়ে নির্দেশিকার আর্জি জানাচ্ছেন গবেষকরা।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন - Health Tips: গরমে প্রেশার বেড়ে যায় ? কেন ? কী করণীয়