কলকাতা: সুস্থ থাকতে মধুমেহ রোগীদের অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে থাকেন যে, মধুমেহ এমন একটা অসুখ যা একবার শরীরে বাসা বেঁধে থাকলে চিরস্থায়ী হয়ে যায়। কিন্তু চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চললে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কিন্তু এর পাশাপাশি অনেক অভ্যাসে লাগাম টানতে হয়। নজর দিতে হয় খাবারের তালিকায়। অনেক খাবারই তাঁরা খেতে পারেন না। আবার তার সঙ্গে নজর দিতে হয় শরীরচর্চাতেও। ভাত, রুটি খাওয়ার ক্ষেত্রে পরামর্শ করে নেওয়া প্রয়োজন চিকিৎসকের সঙ্গে। কিন্তু মধুমেহ রোগীরা কি বেসন খেতে পারেন? খেয়ে ফেললে কী হতে পারে?


মধুমেহ রোগীদের শরীরে বেসনের প্রভাব-


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বেসনকে উপকারী উপাদানের ভরা বলে থাকেন পুষ্টিবিদরা। বেসনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। ছোলা থেকে তৈরি হয় বেসন। আর ছোলা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী, তা অজানা নয় কারও। ছোলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। কিন্তু এই উপকারী উপাদান কি মধুমেহ রোগীদের শরীরের জন্যও প্রযোজ্য? পুষ্টিবিদদের মতে, চিকিৎসকরা সবসময়ই মধুমেহ রোগীদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে, সাধারণ ময়দা থেকে তৈরি খাবার যত কম খাওয়া যায়। কিন্তু বেসনের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা নেই। বেসন মধুমেহ রোগীদের শরীরে কোনও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না।


বেসন কীভাবে মধুমেহ রোগীদের জন্য উপকারী?


বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্ত শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলেই মধুমেহ রোগ দেখা দেয়। এটা তখনই দেখা দেয় যখন শরীরে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ইনসুলিন তৈরি হয় না। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, মধুমেহ নিয়ন্ত্রণে রাখার ঘরোয়া উপাদান হল বেসন। প্রায় রোজই নানা খাবারে বেসন ব্যবহৃত হয়। আর তার মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণে থাকে মধুমেহ। বহু মানুষেরই অজানা এর উপকারিতা। তাই রোজ খাবারে বেসন ব্যবহার করেই নিয়ন্ত্রণে রাখছেন রক্তে শর্করার মাত্রা। তবে, বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বেসন মধুমেহ রোগীদের শরীরে কোনও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না। কিন্তু অত্যধিক বেসন খেলে ওবেসিটির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। শরীরে ক্যালোরির মাত্রা বেড়ে যায়। সেদিকেও নজর রাখা প্রয়োজন।


আরও পড়ুন - Skin Care Tips: এই সহজ পদ্ধতিগুলোতেই দূর হবে ব্রণর সমস্যা


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।