কলকাতা: হাসিতে, খুশিতে, আনন্দে (Happy) কে না থাকতে চায়। কিন্তু পারিপার্শ্বিক নানা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েও যেতে হয় প্রতিদিন। বাস্তবে কত কত প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয় রোজ আমাদের। তারপরও সমস্ত প্রতিকূল পরিবেশ কাটিয়ে খুশিতে থাকা খুবই জরুরি। তবেই সুস্থ থাকবে শরীর। প্রতিদিন কীভাবে থাকতে পারবেন খুশিতে?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আমাদের মন খুশিতে থাকলে তার প্রভাব পড়ে আমাদের স্বাস্থ্যেও। মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে শরীরের একটা গভীর যোগাযোগ রয়েছে। কিন্তু দুঃখ, উদ্বেগ, স্ট্রেস, চিন্তা, অবসাদ কার মধ্যে না কাজ করে? কিছু পদ্ধতি মানলে সম্ভব খুশিতে থাকা।
খুশিতে থাকার সহজ উপায়-
১. কাজের প্রয়োজনে সারাদিন স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপে মুখ গুঁজে রয়েছেন? টার্গেট, স্যালারি, ইনসেনটিভ থেকে চাকরি হারানোর ভয়, এসবকে কেন্দ্র করেই যেন আমাদের রোজকার দিন কাটে। তার সঙ্গে থাকে নানা ব্যক্তিগত সমস্যাও। কিন্তু শুধু এসবে মন দিলে চলবে না একেবারেই। বরং, সময় কাটাতে হবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। সময় কাটাতে হবে প্রিয়জন, বন্ধুদের সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে অনেক সমস্যা মিটে যেতে পারে। কথা বলতে হবে নিজেকে উন্নত করার জন্য।
২. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মন ভালো রাখতে সবার প্রথমে মন থেকে নেতিবাচক সমস্ত চিন্তাকে দূরে সরিয়ে দিতে হবে। মনে যদি কোনও চিন্তা আসেও, তাহলেও সেগুলিকে ইতিবাচক দিক দিয়ে বিচার বিশ্লেষন করতে হবে। তবেই, কোনও সমস্যা থেকে বেরতে পারবেন। অত্যধিক স্ট্রেস অনুভব করলে, কাজের থেকে কিছুটা বিরতি নিয়ে হাঁটতে যেতে হবে। পরিবারের চারপেয়ে সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটান অনেকটা। তাদের সঙ্গে খেলা করুন। দেখবেন, মন নিজে থেকেই ভালো হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন - Health Tips: বর্ষাকালে পেটের সমস্যা? এই সময়ে যেগুলো খেতে পারেন
৩. শরীরের যত্ন নেওয়ার কথা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, মন ভালো রাখতে হলে শরীরের দিকেও নজর দিতে হবে। নিজের যত্ন নিলে মন ভালো থাকে।
৪. সবথেকে বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তি, ভরসাযোগ্য ব্যক্তির সঙ্গে সমস্যার কথা মনের কথা বলা অভ্যাস করতে হবে। ক্লান্তি দূর করতে ঘুম খুবই জরুরি। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমনো দরকার। অনেক সময় কম ঘুমের কারণেও শরীর ও মনে নানা ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
৫. একাগ্রতা বৃদ্ধির জন্য প্রাণায়াম করতে হবে নিয়মিত। চঞ্চল মনে অনেক সময়ই অধৈর্য অনুভূতি হতে পারে। সেগুলি কাটাতে রোজ নিয়ম করে প্রাণায়াম করুন।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।