কলকাতা: ঝিমুনি লাগছে ? ঠিকমতো কাজে মন বসছে না ? এক কাপ চা বা কফিতে চুমুক দিলেই শরীর মন যেন চাঙ্গা হয়ে যায়। কিন্তু এই দুই ধরনের পানীয়তেই ক্যাফেইন রয়েছে। এছাড়াও, নিয়মিত চা বা কফি খেলে অ্যাসিডিটি, বদহজমের আশঙ্কা থাকে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ আবার অন্য কারণেও চা বা কফি ঘন ঘন খেতে বারণ করেন। এই দুই পানীয় আমাদের স্ট্রেস হরমোন বাড়িয়ে দেয় বলেই দাবি। যা শরীরের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়। তবে আসলে তো চাঙ্গা হওয়া নিয়ে কথা। মগজটাকে চালু করা নিয়ে কথা। কফি বা চা ছাড়াও সেটা কিন্তু সম্ভব !


কফি বা চা ছাড়াও চাঙ্গা থাকা সম্ভব ! কীভাবে ?


শ্বাসের ব্যায়াম - মস্তিষ্ককে চাঙ্গা করতে ব্রিদিং এক্সারসাইজ করতে পারেন। শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেলে শরীর দুর্বল ও ক্লান্ত লাগে। নাক দিয়ে শ্বাস গভীরভাবে নিয়ে কিছুক্ষণ ধরে রাখতে হবে। এর পর ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়তে হবে। পাঁচ মিনিট টানা এটি করতে পারলে একদম ঝরঝরে চাঙ্গা লাগবে নিজেকে।


জল খাওয়া -  অনেক সময় শরীরের জলের অভাব আমরা টের পাই না। বরং সেই অভাব অন্য কিছু খেয়ে বা করে মেটাতে চাই। তার মধ্যে একটি হল চা বা কফি পান। মস্তিষ্কের অধিকাংশটাই জল দিয়ে তৈরি। তাই জলের অভাব হলেই কাজ করে না ব্রেন। ব্রেন চাঙ্গা রাখতে নিয়মিত জল খান।


স্বাস্থ্য়কর খাওয়াদাওয়া - স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া ভীষণভাবে জরুরি। স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয় প্রসেসড খাবার, রেড মিট, ফাস্টফুড। এই ধরনের খাবারের বদলে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেলে স্ট্রেস কম হয়। যা ব্রেনের জন্য জরুরি।


ঘুমের আগে ফোন নয় - অনেকেই ঘুমের আগে ফোন ঘাঁটতে পছন্দ করেন। এতে ক্ষতি বৈ লাভ হয় না। কারণ ফোনের ব্লু রে চোখের মধ্যে অনবরত চাপ ফেলে। যা অপটিক নার্ভকে দুর্বল করে। পাশাপাশি ব্রেনের ক্ষতির কারণ। তাই ঘুমের আধঘন্টা থেকে একঘন্টা আগে ফোন দূরে রাখুন।


পর্যাপ্ত ঘুম - আমরা যতক্ষণ জেগে থাকি, ততক্ষণ আমাদের মস্তিষ্কও জেগে থাকে। আর গোটা সময়ই মস্তিষ্ক কিছু না কিছু কাজ করে। তাই ব্রেনের বিশ্রামও জরুরি। যথাযথ বিশ্রাম পেলে আর সমস্যা হয় না মস্তিষ্কের।


আরও পড়ুন - Music Benefits: ঘুম আসে গান শুনে ? আর কখন কখন গান শুনলে উপকার ?