কলকাতা: সুস্থ থাকতে গেলে শরীর ও মন- ভাল রাখতে হবে দুটিই। জিম, সাঁতার (Swimming) ও আরও নানা ধরনের শরীরচর্চার পদ্ধতি রয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলে থাকেন, শারীরিক ও মানসিক দুটি ক্ষেত্রেই সমান উন্নতির জন্য, সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে ভরসা করতে হয় যোগব্যায়ামের উপরেই। আর এই যোগ ব্যায়ামেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ মেডিটেশন (Meditation) বা ধ্যান। এই অভ্যাস ঘুমের মতো শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া ঠিকমতো চালাতেও সাহায্য করে।


ঘুমের সমস্যা:
মানবদেহের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হল ঘুম (Sleep)। সব শারীরবৃত্তীয় কাজ ঠিকমতো চালাতে। শরীর ভাল রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। কিন্তু অনেক সময়, নিরবিচ্ছিন্নভাবে ঘুম হয় না। এই সমস্যাকে Sleep Disorder বলা হয়। হঠাৎ হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়া। গভীর ঘুম না হওয়া। এরকম নানা উপসর্গ দেখা যায়। ইনসমনিয়া (insomnia), স্লিপ অ্যাপনিয়া (Sleep Apnea), রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম (Restless Leg Syndrome), হাইপারসোমনিয়া, ন্যাক্রোলেপসি (nacrolepsy) এমন নানা ধরনের সমস্যা স্লিপ ডিসঅর্ডারের (Sleep Disorder) মধ্যে পড়ে।  


কেন হয়? ক্ষতি কী?
কোনও একটি নির্দিষ্ট কারণে এমন সমস্যা হয় না। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, একাধিক সমস্যার সম্মিলিত কারণে কোনও ব্যক্তির ঘুম সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘদিনের কোনও রোগ থাকলে তার থাকে হতে পারে। প্রবল উদ্বেগ বা অ্যাংজাইটিতে ভুগলে স্লিপ ডিসঅর্ডারের ঝুঁকি থাকে। এছাড়াও অবসাদ, অতিরিক্ত চিন্তা, জীবনযাপনের কোনও অনিয়ম, শরীরচর্চা না করা, এরকম একাধিক কারণে সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে ঘুম সংক্রান্ত সমস্যা হলে শরীরে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে যায়, শারীরিকভাবে দুর্বলতা আসে, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতায় ধাক্কা লাগে। এছাড়াও শারীরবৃত্তীয় কাজেও সমস্যা তৈরি হয়।


সুরাহা মিলবে যোগ ব্যায়ামে:
বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন যোগব্যায়ামের অভ্যাসে এই সমস্যা থেকে অনেকটাই সুরাহা মিলতে পারে। যাঁদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ঘুমোতে যাওয়ার আগে কিছুক্ষণ হালকা যোগব্যয়াম করার পরামর্শ দেন যোগ বিশেষজ্ঞরা। স্ট্রেস ও অবসাদ দূর করতে মেডিটেশন বা ধ্যানের অভ্যাসকে গুরুত্ব দিতে বলছেন তাঁরা।


মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে বেশ কিছু আসন অভ্য়াস করা যায়। বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে এই আসনগুলি দেখে নেওয়া উচিত।



  • বিপরীত করণি

  • সুপ্ত বদ্ধ কোণাসন

  • বলাসন

  • শবাসন


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।