কলকাতা: হেড অ্যান্ড নেক ক্যানসার বলতে গোটা মাথা ও ঘাড় পর্যন্ত অংশের ক্যানসারকে বোঝানো হয়ে থাকে। এই অংশগুলি ক্যানসারের হার বর্তমানে অনেক বেশি ভারতে। এতটাই যে, ভারতকে মাথা ও ঘাড়ের ক্যানসারের রাজধানী বলেন চিকিৎসকরা। ধূমপান ও তামাক সেবনের কারণে এই ক্যানসারর হার অনেকটাই বাড়ছে দেশে। সম্প্রতি এক রিপোর্টেও ধরা পড়ল সেই তথ্য। দেখা গিয়েছে, ধূম ও তামাক সেবনের কারণে এই ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি ৩৫ গুণ বেড়ে গিয়েছে। মাথা ও ঘাড়ের ক্যানসারের (head and neck cancer) মধ্যেই পড়ে কয়েকটি বিশেষ অঙ্গের ক্যানসার। এই তালিকায় রয়েছে জিভ, মুখ, গলা ও মুখের বিভিন্ন অংশ যেমন ওরোফ্যারিংক্স, নাসাফ্যারিংক্স, হাইপোফ্যারিংক্স, স্যালাইভারি গ্ল্যান্ডস, নাসাল ক্যাভিটি, ল্য়ারিংক্স ইত্যাদি।
ভারতে অনেকটাই বেশি
রাজীব গান্ধি ক্য়ানসার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের হেড অ্যান্ড নেক অঙ্কোলজির চিকিৎসক মুদিত আগরওয়ালের সংবাদমাধ্যম আইএএনএসকে বলেন, সারা দেশে নতুন শনাক্ত হয়েছে এমন ক্যানসারের মধ্য়ে ১৭ শতাংশই হল এই ধরনের ক্যানসার। তার মধ্যে পুরুষদের মধ্যে মুখের ক্যানসারের হার সবচেয়ে বেশি। মহিলাদের মধ্যে যে যে ক্যানসার দেখা যায়, সেই তালিকায় চতুর্থ স্থানেই রয়েছে এই ধরনের ক্যানসার। মূলত উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের কথাই উঠে এল চিকিৎসক মুদিতের কথায়। এই রাজ্যগুলিতে তামাকজাত দ্রব্য সেবনের হার (cancer cause) অনেকটাই বেশি। যার ফলে এই ধরনের ক্য়ানসারের হারও বেশি বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক।
কী বলছেন চিকিৎসকরা ?
পশ্চিমী দেশগুলিতে এই ক্যানসারের হার অনেকটাই কম বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক। ক্যানসার মুক্ত ভারত ক্যাম্পেনের চিফ অঙ্কোলজিস্ট চিকিৎসক আশিষ গুপ্ত সংবাদমাধ্যম আইএএনএসকে বলেন, পশ্চিমী দেশগুলিতে এই ক্যানসারের হার মাত্র ৪ শতাংশ। সেখানে ভারতে সব ধরনের ক্যানসারের মধ্য়ে ২৭.৫ শতাংশই হল হেড অ্যান্ড নেক ক্যানসার।
কোন কারণে বাড়ে রোগীমৃত্যু
চিকিৎসক আশিষের কথায়, তামাকজাত দ্রব্য, অ্যালকোহল, পান মশলা খাওয়ার অভ্যাস থেকেই এমনটা হয়ে থাকে। অন্যদিকে ঠিকমতো পুষ্টিকর খাবার যেমন সবুজ শাকসবজি না খাওয়ার ফলে এই ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। বিপদ বাড়ে আরেকটি কারণেও। চিকিৎসকদের কথায়, রোগীরা এই রোগ ৬০-৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছড়িয়ে গেলে তবেই চিকিৎসা (cancer treatment) করাতে আসেন। যে কারণে চিকিৎসা করার সুযোগ থাকে কম। রোগীমৃত্যুর হার বেশি হয়।
আরও পড়ুন - Health Tips: সার্ভিকাল ক্যানসার টিকা কোন বয়স পর্যন্ত নেওয়া যায় ?