Social Phobia Or Anxiety Signs Remedies: বেশি লোকজন বাড়িতে এলে দরজা বন্ধ করে বসে থাকতে ইচ্ছে করে। আবার খুব বেশি ভিড়ের মধ্যেও একেবারে যেতে ইচ্ছে করে না। কানে গান চালিয়ে দিয়ে অন্যদিকে মন ঘোরাতে ইচ্ছে হয়। কারও সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে করে না বেশি। খুব গোনাগুনতি কয়েকজনের সঙ্গেই মন খুলে কথা বলতে ভাল লাগে।
একটু লক্ষ করলে আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষের সন্ধান পাওয়া যাবে। যারা বেশি লোকজনের মধ্যে গেলেই অস্বস্তি বোধ করেন। খুব বেশি ভিড় পছন্দ করেন না। এমনকি বাড়ির মধ্যেও অতিথি বেশিক্ষণ থাকলে বিরক্ত বোধ করেন। এই সবকিছুর পিছনেই রয়েছে একটা কারণ। আর কিছু ক্ষেত্রে সেই কারণটার নাম হতে পারে সোশ্যাল অ্যাংজাইটি বা সোশ্যাল ফোবিয়া। কেন এই ফোবিয়া হয়, কী কী লক্ষণ দেখা যায়। কীভাবে এই ফোবিয়া কাটিয়ে ওঠা সম্ভব ?
সোশ্যাল ফোবিয়ার লক্ষণ
আদৌ সোশ্যাল ফোবিয়াতেই ভুগছেন কি না তা বুঝতে হলে এই লক্ষণগুলি মিলিয়ে নেওয়া দরকার। সোশ্যাল ফোবিয়া আক্রান্তদের মধ্যে কিছু লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়। এই লক্ষণগুলি হল —
- কেউ আপনাকে জাজ করবে বা সমালোচনা করবে তার ভয় পাওয়া।
- অপমানিত হওয়ার ভয় পাওয়া।
- সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে, এই ভয়ে নানা কাজ না করা।
- উদ্বিগ্ন থাকা।
- উদ্বেগ থেকে ঘাম হওয়া, গলা শুকিয়ে যাওয়া।
- ওই পরিস্থিতিতে থাকতে বিরক্তি বোধ করা। সেখান থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বেরিয়ে যেতে চাওয়া।
- লোকের সঙ্গে কথা যতটা কম বলা যায় তার চেষ্টা করা। কথা না বলে এড়িয়ে যাওয়া।
- নেগেটিভ কী হতে পারে তা ভাবা।
কীভাবে কাটাবেন সোশ্যাল ফোবিয়া ?
- জার্নাল লেখা - যে ঘটনা বা পরিস্থিতি আপনাকে বিরক্ত করছিল, সেটি লিখে রাখা। আপনি কী করেছেন বা করতে পারতেন তার পাশে সেটি লিখে রাখা। এছাড়াও, যে যে ঘটনা আপনাকে চাপে ফেলেছে, সেটিও লিখে রাখুন।
- যে যে জিনিসগুলিকে আপনার বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত, সেগুলিকে আগে প্রাধান্য দিন।
- কোনওরকম নেশা থাকলে তা কমানোর দিকে মন দিন। এই নেশা শুধু অ্যালকোহল বা ড্রাগের নয়, ফোন, টিভি, চ্যাটিং বা যেকোনওকিছু হতে পারে। মনে রাখতে হবে, যে কাজ অতিমাত্রায় করলে আপনার রোজকার সব কাজগুলি ঠিকমতো হয় না, সেই কাজটিই আপনার নেশা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
- উদ্বেগ কাটানোর জন্য মনোবিদের পরামর্শও নিতে পারেন।
ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন - Migraine Myths And Facts: মাইগ্রেন নিয়ে এই ধারণাগুলির কোনটা মিথ, কোনটাই বা সত্য ?