কলকাতা: ওজন কমাতে অনেকে এখন উপোসের পথে। সেই উপোসের অবশ্য একটি বিশেষ নাম রয়েছে। তা হল ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং। অর্থাৎ দিনের একটি বড় অংশ না খেয়ে থাকা। যা সাধারণভাবে উপোসে করা হয়ে থাকে। তবে এই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং বিপদ ডেকে আনতে পারে। শরীর দুর্বল করে দেওয়া ছাড়াও, আরও রোগের কারণ হতে পারে। সম্প্রতি এক গবেষণা দেখা গেল তেমনটাই। চিকিৎসকদের কথায়, হার্টের সমস্যার কারণ হতে পারে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং।


ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ে ওজন কমে ?


গবেষকদের একাংশ বলছে, এই পদ্ধতি কার্যকর। অর্থাৎ এই ধরনের উপোস করলে ওজন সত্যিই কমে। কীভাবে কমে তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও দিয়েছেন গবেষকরা। ফাস্টিং অর্থাৎ উপোসের সময় আমাদের শরীরের এনার্জি প্রয়োজন হয়। এদিকে আমাদের ফ্যাটে অনেকটা শক্তি সঞ্চিত থাকে। সেই শক্তিই উপোসের সময় শরীর ব্যবহার করে। এর ফলে ফ্যাট ভাঙতে শুরু করে। অর্থাৎ ওজন কমতে শুরু করে। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এভাবেই ওজন কমাতে সাহায্য করে।সারাদিনে খুব কম খেয়ে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে এই উপোস করতে হয়।


কীভাবে করে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ?


একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দিনের সব খাওয়াদাওয়া করে ফেলতে হবে। এটাই ইন্টারমিটেন্টে ফাস্টিং। জনপ্রিয় নিয়মটি হল দিনের আট ঘন্টার মধ্য়ে সকাল, দুপুর ও রাতের খাবার খেয়ে ফেলতে হবে। এর পর বাকি ১৬ ঘন্টা আর কোনও খাবার খাওয়া যাবে না।


হার্টের বিপদ ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ে ?


সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং হার্টের জন্য বিপজ্জনক। দিনে আট ঘন্টার মধ্য়ে সব খাবার খেয়ে ফেললে হার্টের রোগের ঝুঁকি ৯১ শতাংশ বেড়ে যায়। ২০ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের নিয়ে এই গবেষণা করা হয়। তাদের রোজকার খাবার খাওয়ার ধরন বা প্যাটার্ন পরখ করে দেখা হয়। এই খাবারের ধরন থেকেই দেখা গিয়েছে, ৯১ শতাংশ মানুষের মধ্য়েই হার্টের রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। আর তার বড় কারণ ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং।


আগে থেকে হার্টের রোগ থাকলে ?


আগে থেকে অনেকের হার্টের রোগ থাকে। তাদের ক্ষেত্রে হার্টের রোগের ঝুঁকি ৬৬ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে। তবে এর পাশাপাশি স্ট্রোকের ঝুঁকিও রয়েছে বলে জানান গবেষকরা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক কেথ ফ্রেন বলেন, ক্যালোরি ইনটেক কমাতে অনেকেই এই উপোস করেন। কিন্তু আখেরে তাতে বিপদ বাড়ছে বলেই দেখা গেল গবেষণায়। তবে এখনও এই নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা বাকি রয়েছে বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - Heatwave Tips: পারদ চড়লেই শুরু তাপপ্রবাহ, শরীর সুস্থ রাখতে খেয়াল রাখুন ৬ টিপস