কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে শ্বাসকষ্ট কিংবা হাঁপানি (Asthma) সমস্যা চিন্তা বাড়িয়েছিল। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা দিয়েছিল এই সময়ে হাঁপানির কারণে বেড়েছে অবসাদের (Depression) সমস্যাও। সম্প্রতি গবেষকরা একটি তথ্য প্রকাশ করেছেন। যেখানে তাঁরা জানিয়েছেন যে, করোনা পরবর্তী সময়ে হাঁপানির কারণে অবসাদের সমস্যা বেড়েছে বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে।


হাঁপানির সঙ্গে অবসাদের সম্পর্ক-


গবেষকরা জানাচ্ছেন, হাঁপানি এবং অবসাদের মধ্যে সম্পর্ক খুঁজতে গিয়ে তাঁরা দেখেছেন যে, এর পিছনে অনেকটাই দায়ী করোনা পরিস্থিতি। লকডাউনের মতো অভিজ্ঞতা, আইসোলেশনের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয় স্ট্রেস, উদ্বেগ এবং অবসাদের সমস্যা। তাই সামান্য একটু হাঁপানির সমস্যা দেখা দিলেই বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে অবসাদ। হাঁপানির কারণে অবসাদ দেখা দেওয়ার সমস্যা করোনা পরিস্থিতির আগে যতটা না ছিল, তার থেকে অনেকটাই বেড়েছে করোনা পরবর্তী সময়ে।


আরও পড়ুন - Health Tips: অহেতুক অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ফেলছেন? কীভাবে নিজেকে আটকাবেন


প্রসঙ্গত, শীতকালে (Winter) শ্বাসের নানা সমস্যা আরও মাথাচাড়া দেয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই শীতকালে আরও বেশি করে স্বাস্থ্যের নানা সমস্যার লক্ষণগুলির দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে মত তাঁদের। কী কী লক্ষণ দেখলে বুঝবেন হাঁপানির (Asthma) সমস্যা দেখা দিচ্ছে? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হাঁপানির সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণই হল শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া। স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে না পারা। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাঁপানির সমস্যা দেখা দেওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। বহু মানুষের নানা কিছুতে অ্যালার্জির সমস্যা থাকে। অ্যালার্জি থেকেও হাঁপানি দেখা দিতে পারে। এছাড়াও স্ট্রেস, অবসাদ, দীর্ঘদিন জটিল কোনও রোগে অসুস্থ থাকলেও এই সমস্যা দেখা দেয়। শ্বাস নিতে সমস্যা দেখা দিলে দোকান থেকে কোনও ওষুধ কিনে এনে খাওয়া একেবারেই সঠিক নয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এমন পরিস্থিতিতে সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। বায়ুদূষণ থেকেও দেখা দিতে পারে হাঁপানির সমস্যা। ধুলো, ধোঁয়া, দূষণ আমাদের ফুসফুসে সঠিকভাব এবং পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছতে দেয় না। বাড়িতে কেউ ধূমপান করলে তাঁর থেকে এমনকি নিজে ধূমপান করলে তার মাধ্যমেও হাঁপানি দেখা দিতে পারে। বাড়িতে যদি আরশোলা কিংবা ইঁদুর থাকে, তাহলে তার থেকেও হাঁপানি হতে পারে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।