কলকাতা: আর কিছু দিন পর থেকেই রোদের তেজ বাড়তে শুরু করবে। আর তখন স্বাভাবিকভাবে অনেকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে শুরু করবেন। সূর্যের ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি আটকাতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা হয়। সূর্যের রশ্মির জেরে ত্বকের ক্যানসার হতে পারে। তাই এর থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার কথা বলেন চিকিৎসকরা। তবে এই বাঁচিয়ে রাখা সানস্ক্রিনে কতটা কার্যকর ? সানস্ক্রিনের উপাদান নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন ওঠে। তাহলে ত্বকের উপকারের বদলে কি ক্ষতি করছে সানস্ক্রিন ? বিশদে জেনে নেওয়া যাক।
সানস্ক্রিন কেন ক্ষতিকর ?
সানস্ক্রিন বেশ কিছু রাসায়নিক পদার্থ মেশানো হয়ে থাকে। এই উপাদানগুলি সূর্যের ক্ষতিকর ইউভি রশ্মিকে বিকিরিত করে। এর ফলে তা ত্বকে প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু অন্যদিকে ত্বকের ক্ষতি হতে থাকে। ক্ষতি হতে থাকে সানস্ক্রিনে থাকা রাসায়নিকের জন্য।
সানস্ক্রিন না সানব্লক ?
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচানোই আমাদের লক্ষ্য। আর তাই যদি করতে হয়, তবে ত্বকে সানব্লকেও কাজ হতে পারে। সানস্ক্রিনের উন্নত বিকল্প সানব্লক। দুটোই উপর উপর দেখতে এক লাগতে পারে। কিন্ত সানব্লকে উপাদান হিসেবে কিছু খনিজ পদার্থ ব্যবহার করা হয়। এই খনিজ পদার্থ ত্বকের কোনও ক্ষতি করে না।
কেন সানব্লক ?
আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সানব্লককে সম্মতি দেয় বিশেষ কারণে। এর মধ্যে খনিজ পদার্থ হিসেবে ব্যবহার করা হয় জিঙ্ক অক্সাউড বা টাইটানিয়াম ডাইঅক্সাইড। এই বিশেষ উপাদান দুটি ত্বকের কোনও ক্ষতি করে না। বরং ত্বকের জন্য উপকারী। শিশু, বয়স্কদের ত্বক খুব কোমল ও সংবেদনশীল হয়। সেই ত্বকের জন্য় সানব্লক অনেক বেশি উপকারী।
বিভিন্ন সংস্থার কায়দা
এটি সানব্লক। ওটি সানস্ক্রিন। সংস্থা দাবি করছে এমনটাই। আপনিও স্রেফ নামটা দেখেই কিনে ফেললেন। কিন্তু ব্যবহারের বেশ কিছু দিন পর বোঝা গেল সানব্লক লেখা ওই প্যাকটাই আপনার ক্ষতি করছে। তাহলে কি সানব্লক আপনার ত্বকের জন্য় নয়? আদপেই সেরকম কোনও ব্যাপার নয়। সানস্ক্রিন বা সানব্লক লেখা থাকলেই হয় না। উপাদানই বলে দেয় সেটি আদতে কী জিনিস ? তাই কেনার আগে নাম দেখে কিনলে হবে না। বরং দেখে নিতে হবে ওই জিনিসটির মধ্যে থাকা উপাদানের নাম। রাসায়নিক হলে তা ক্ষতিকর সানস্ক্রিন হবে। অন্য়দিকে খনিজ পদার্থ হলে সেটি ত্বকের পক্ষে উপকারী।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন - Stroke Prevention Tips: ইসকেমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত হন মিঠুন, রোজকার ৬ অভ্যাস আটকাতে পারে এই বিপদ