World No Tobacco Day: তরুণদের মধ্যে কমছে ধূমপানের প্রবণতা। সম্প্রতি এমনটাই উঠে এল সমীক্ষায়। ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সিদের নিয়ে এই সমীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা গিয়েছে, ৪৬.৯৬ শতাংশ মানুষ ধূমপান ছেড়ে দিয়েছে। সরকারি প্রকল্পের আওতায় এই তথ্য রেকর্ড করা হয়েছে। ন্যাশনাল টোবাকো কুইটলাইন সার্ভিসের (National Tobacco Quitline Service) তরফে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।


প্রতি বছর ওয়ার্ল্ড নো টোবাকো ডে (World No Tobacco Day) পালন করা হয় ৩১ মে। এনটিকিউএলএস সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে ভিপিসিআই সার্ভে করা হয়েছে। এই সার্ভে অনুযায়ী, ৪,৭৭,৫৮৫ কল নথিভুক্ত করা হয়েছিল মূল সার্ভারে। তার মধ্য়ে থেকে ১,৪৪,৯৩৮ জন ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করেছে। এছাড়াও, তথ্য সূত্র অনুযায়ী, ২০১৬ সালের মে মাস থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৮২ লাখ ফোন এসেছে সরকারি দফতরের ওই হেল্পলাইনে।


স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও আসক্তি


ধূমপানের আসক্তি স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও বাড়ছে দিন দিন। কিন্তু এর পাশাপাশি সুখবরও রয়েছে। সেটি হল ধূমপান ত্যাগ করার প্রবণতা। প্রায় ধূমপানকারীদের মধ্যে ৪৬.৯৬ শতাংশই ধূমপান ত্যাগ করেছেন বলে জানাচ্ছে ওই তথ্যসূত্র।


২০০১ সাল থেকে টোবাকো সেসেশন ক্লিনিকের শীর্ষে রয়েছেন চিকিৎসক রাজ কুমার। আইএএনএস সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ধূমপান ত্যাগ করা শুধুই নিজের মনের ইচ্ছে নয়। ধূমপানের জেরে মানসিক ও আচরণগত বেশ কিছু বদল আসে। সেই দিকগুলিরও খেয়াল রাখতে হয়। টোবাকো সেসেশন ক্লিনিকে সেই বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা করা হয়। তবে এই পরিসংখ্যান বলছে, তরুণদের মধ্যে ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে।


সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত ২৩ বছর ধরে ভিপিসিআই-তে টিসিসি অর্থাৎ টোবাকো সেসেশন ক্লিনিক ৩৭৬টি গণসচেতনতা বৃদ্ধির অনুষ্ঠান করেছে। এর মধ্যে যেমন ছিল অ্যান্টি টোবাকো ক্যাম্পেইন, অন্যদিকে ছিল বিভিন্ন সচেতনতামূলক সেমিনারও। যা প্রায় ১৩ লাখ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।


এই সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন ৫৭,২৪৩ জন চিকিৎসক। অন্য়দিকে উপকৃত হয়েছেন ৪৪,৬৫২ জন পড়ুয়ারা। এছাড়াও, এই কাজে যোগদানের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন ৬১,১২৯ জন।


আরও পড়ুন - Bathroom Tiles Cleaning Tips: বাথরুমের টাইলস থেকে হতে পারে এই রোগগুলি, সাফ রাখবেন কীভাবে ?


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।