কলকাতা : আজকের দিন চুল পড়ার (Hair Fall) সমস্যা বহু সংখ্যক মানুষের মধ্যে দেখা যায়। লাইফস্টাইল পরিবর্তনের কারণে কিংবা আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে অত্যধিক চুল ঝরে। কিন্তু এই চুল পড়ার সমস্যা যদি মারাত্মক আকার নেয়, তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে কোনও অন্য রোগ বাসা বেঁধেছে। যার ফলেই অত্যধিক পরিমাণে চুল ঝরছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়ার পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। চুল পড়ার লক্ষণ অনেক সময়ই অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। তাই চুল পড়ার সমস্যাকে একেবারেই হালকাভাবে না নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কোন কোন অসুখ শরীরে বাসা বেঁধে থাকলে অত্যধিক হারে চুল পড়তে শুরু করে, সে সম্পর্কেও জানাচ্ছেন তাঁরা।


আরও পড়ুন - অতিরিক্ত কফি খাচ্ছেন? জানেন কী হতে পারে?


কোন অসুখের কারণে অতিরিক্ত চুল পড়ে?


১. বর্তমান যুগে অনেক সংখ্যক মহিলার মধ্যেই পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। হরমোনের সাম্যতা বজায় না থাকার কারণেই মূলত এই সমস্যা দেখা দেয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের সমস্যা দেখা দিয়ে মহিলাদের মধ্যে অনিয়মিত মেনস্ট্রুয়ালের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও অত্যধিক চুল পড়া, চুল রুক্ষ শুষ্ক নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়া এবং চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলোও দেখা দেয়। তাছাড়া এই অসুখে ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যাও দেখা দেয়।


২. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, যদি অত্যধিক চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে একবার থাইরয়েড টেস্ট করিয়ে নেওয়া দরকার। কারণ, শরীরে যদি থাইরয়েডের সমস্যা থাকে, তাহলে চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চুল পড়তেও শুরু করে। এর পাশাপাশি স্মৃতিশক্তিতেও প্রভাব ফেলে থাইরয়েড।


আরও পড়ুন - Beauty Tips: কীভাবে আই লাইনার ব্যবহার করলে চোখ আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে?


৩. শ্যাম্পু করার সময় কি চুল পড়ার সমস্যা লক্ষ্য করছেন? তাহলে আপনার শরীরে বাসা বেঁধেছে অ্যানিমিয়া। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। মহিলাদের মধ্যে অ্যানিমিয়ার সমস্যা যেমন আজকার প্রায়ই দেখা যায়, তেমনই অ্যানিমিয়ার কারণে চুল পড়ার সমস্যাও দেখা দেয়।


৪. অত্যধিক হারে চুল পড়ার আরও একটা কারণ স্ট্রেস বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই স্ট্রেস থেকে বাঁচতে এবং স্ট্রেসের কারণে চুল পড়া প্রতিরোধ করতে মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন। মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে যোগাভ্যাস কিংবা মেডিটেশনও করতে পারেন।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।