কলকাতা: ত্বক (Skin) অনুযায়ী নানা সমস্যা দেখা দেয়। তৈলাক্ত ত্বকের (Oily Skin) একরকম সমস্যা, শুষ্ক ত্বকের এরকম। আর সেনসিটিভ ত্বকের একরকম সমস্যা দেখা দেয়। তাই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বয়স যত বাড়তে থাকে, ততই ত্বকে বলিরেখার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটা খুবই সাধারণ একটা সমস্যা আজকের দিনে। কিন্তু জানেন কি, শুধুই বয়সের কারণে নয়। বরং, আমাদের লাইফস্টাইলের নানা ভুলের কারণেও ত্বকে বলিরেখার সমস্যা দেখা দিতে পারে। রোজকার করা কোন কোন ভুলের কারণে ত্বকে বলিরেখা (Wrinkles) দেখা দেয়, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


ত্বকে বলিরেখা দেখা দেওয়ার কারণ-


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ত্বক সুস্থ রাখতে প্রতিদিন ত্বকের সঠিক পরিচর্যা জরুরি। ক্লিনজিং, টোনিং, স্ক্রাবিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিন ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তবেই ত্বক কোমল এবং নানা ক্ষতি মুক্ত থাকে। কিন্তু বহু সময়ই ত্বকের সমস্ত পরিচর্যা করলেও ত্বকে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে ভুলে যান। এর ফলে ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। আর এর ফলেই দেখা দেয় বলিরেখার সমস্যা। বিশেষজ্ঞদের মতে, চোখের চারপাশে সবথেকে বেশি বলিরেখার সমস্যা দেখা দেয়।


২. অত্যধিক পরিমাণে রোদের মধ্যে থাকার কারণে বলিরেখার সমস্যা দেখা দেয়। বহু মানুষকেই সারাদিনে অনেকটা সময় সূর্যের আলোর মধ্যে থাকতে হয়। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির কারণে ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সমস্যা প্রতিরোধ করতে রোদে বেরলে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা দরকার।


আরও পড়ুন - Almonds: কীভাবে খাবারের তালিকায় যোগ করবেন আমন্ড বাদাম?


৩. ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু তারপরও বহু মানুষ ধূমপানের মতো অভ্যাসের বশবর্তী হয়ে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ধূমপান যেমন স্বাস্থ্যের নানা ক্ষতি করে। তেমনই ত্বকেরও মারাত্মক ক্ষতি করে। অত্যধিক পরিমাণে ধূমপানের ফলে বলিরেখার সমস্যা দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অকালে বয়সের ছাপ পড়ে যায়।


৪. রোজকার খাবারের তালিকায় পুষ্টিকর খাবার না থাকার কারণেও বলিরেখা দেখা দিতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, সুস্থ থাকতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া দরকার। তার সঙ্গে তেল মশলা, ভাজাভুজি জাতীয় খাবার ত্যাগ করে টাটকা ফল ও শাক সব্জি রাখতে হবে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।