কলকাতা: অত্যদিক কাজের চাপে স্ট্রেসের (Stress) শিকার হওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। মানসিক ও শারীরিক পরিশ্রমের ফলে এই স্ট্রেস দেখা দেয়। অত্যধিক স্ট্রেস ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে স্বাস্থ্যের উপর। করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতির পর স্ট্রেসের শিকার হওয়ার ঘটনা আরও বেড়ে গিয়েছে। কাজ হারানোর চিন্তা, অফিসে রাজনীতির শিকার, এসমস্ত কিছুই আরও বেশি করে ক্ষতিগ্রস্ত করছে মানসিক স্বাস্থ্যকে (Mental Health)। আর এর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে শরীরেও। কীভাবে কাজের ক্ষেত্রের স্ট্রেস দূর করবেন? সহজ পদ্ধতি জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


স্ট্রেস কমানোর সহজ উপায়-


১. স্ট্রেস কমাতে গেলে প্রথমেই বুঝতে হবে, কোন কারণে মনের উপর চাপ পড়ছে। সহকর্মীদের ব্যবহার নাকি কাজ হারানোর চিন্তা নাকি অফিস পলিটিক্স নাকি অন্য কিছু। যে কারণে স্ট্রেস দেখা দিচ্ছে, তার উৎস খোঁজা সবথেকে বেশি জরুরি।


২. কাজ থাকলেও ছুটি নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। কিছুদিন অন্তর অন্তর কাজের থেকে ছুটি নিয়ে কাছেপিঠে কোথাও ঘুরে আসতে হবে। তাহলে মানসিক ও শারীরিক সমস্ত স্বাস্থ্যই বজায় থাকবে। কাজ থেকে মাঝেমধ্যে বিরতি নিয়ে খোলা হাওয়ায় ঘুরে আসা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


৩. কোন কোন বিষয়ে সমস্যা দেখা দিচ্ছে, তা নিয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। যদি কোনও জটিল সমস্যা হয়, তাহলে তা কথা বলে মিটিয়ে নিতে পারেন। যাঁকে সবথেকে বেশি বিশ্বাস করেন, তেমন কোনও ব্যক্তির সঙ্গে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।


আরও পড়ুন - Health Tips: মুঠো-মুঠো অম্বলের ওষুধ খাচ্ছেন? কী হচ্ছে জানেন?


৪. স্ট্রেস দূর করতে কাজের সময়ের বাইরে নিজের ভালোলাগে এমন কোনও কাজে মন দিতে পারেন। সেটা গান গাওয়া হতে পারে, ছবি আঁকা হতে পারে কিংবা বাচ্চাদের পড়ানোও হতে পারে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ইন্ডোর গেম খেললেও মন ভালো থাকবে। খেলাধুলোয় ফের মন দিতে পারেন। এতে মন যেমন ভালো থাকবে, তেমনই শরীরও সুস্থ থাকবে।


৫. পর্যাপ্ত ঘুম শরীরকে সমস্ত দিক থেকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সঠিক পরিমাণে ঘুম না হলেও স্ট্রেস ও উদ্বেগজনিত সমস্য়া দেখা দেয়। তাই ব্যস্ততার মধ্যেও সুস্থ থাকতে অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম খুবই জরুরি।


৬. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, স্ট্রেস দূর করতে খাদ্যাভ্যাসে নজর দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার। যা শরীরকে যেমন সুস্থ রাখবে, তেমনই সুস্থ রাখবে মস্তিষ্ককেও।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।