কলকাতা: যাঁরা নিরামিষ খাবার খান, তাঁদের মধ্যে অনেকেই টোফু (Tofu) কিংবা পনির (Paneer) খেয়ে থাকেন। আবার শুধুমাত্র তাঁরাই নন, বহু মানুষই এই স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পছন্দ করেন। অনেকে আবার ওজন কমানোর ডায়েটে পনির কিংবা টোফু রাখেন। কোনটা বেশি স্বাস্থ্যকর? টোফু নাকি পনির? সে সম্পর্কে বিশদে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


টোফু কী?


টোফুও একধরনের পনির। আর এই পনির তৈরি হয় সোয়াবিনের দুধ থেকে। স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারি টোফু। স্যালাড হোক কিংবা অন্য কোনওভাবে, স্বাস্থ্যের উপকারি খাবারের তালিকায় টোফু রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। বাজারে কিংবা দোকানে প্রায়শই টোফু কিনতে পাওয়া যায়। এতে রয়েছে ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেটস, নানা রকমের ভিটামিন এবং মিনারেলস। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মধুমেহ প্রতিরোধ করতে টোফুর জুড়ি মেলা ভার। এছাড়া, যাঁদের টাইপ টু ডায়াবিটিস রয়েছে, তাঁদের জন্য এটি দারুণ উপকারী।


টোফুর উপকারিতা- 


১. বিভিন্ন প্রকার হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে টোফু। এতে থাকা উপকারি উপাদান রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এবং হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকজাতীয় নানা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।


২. ওজন কমাতে দারুণ উপকারী টোফু। 


৩. হাজ মজবুত রাখতে সাহায্য করে।


আরও পড়ুন - Sleep: সময়ে-অসময়ে অত্যধিক ঘুমোচ্ছেন? কী কী হতে পারে জানা আছে?


পনির কী?


গরু কিংবা মোষের দুধ থেকে তৈরি হয় পনির। এটিকে অনেক জায়গায় ইন্ডিয়ান কটেজ চিজও বলা হয়। সাধারণত, দুধের সঙ্গে কয়েকফোঁটা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে পনির তৈরি করা হয়।


পনিরের উপকারিতা-


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পনির স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে , হাঁপানির সমস্যা কমাতে, হিমোগ্লোবিনের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ব্রঙ্কাইটিসের মতো অসুখকেও প্রতিরোধ করে পনির। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে, স্মৃতিশক্তি প্রখর করতে এবং শিশুদের দ্রুত বৃদ্ধিতে এর জুড়ি মেলা ভার। হজমশক্ত উন্নত করতে সাহায্য করে। ওজন কমাতে সাহায্য করে পনির। হাড় এবং দাঁত মজবুত রাখে। হাড়ের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, বেশ কিছু ধরনের ক্যানসারও প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে পনির। তাই সুস্থতার জন্য নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞ থেকে চিকিৎসকেরা।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।