কলকাতা: গ্রীষ্মকাল শুরু হবার আগে থেকেই চড়ছে পারদ আর এই নিয়েই এবার সতর্ক করল রাষ্ট্রসংঘ। রাষ্ট্রসংঘের জলবায়ু সংক্রান্ত রিপোর্টে উঠে এল আখামী দিনের বিপদের কথা। সম্প্রতি ওয়ার্ড মেটারিওলজিক্যাল এসোসিয়েশনের একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে তাতে জানানো হয়েছে জানুয়ারি মাসটি ইতিমধ্যেই আগের মাসগুলির তুলনায় উষ্ণতম মাস হিসেবে রেকর্ড করেছে। বিজ্ঞানীদের একাংশের আশঙ্কা ২০২৪ সাল উষ্ণতম বছর হিসেবে ফের রেকর্ড করতে পারে। তাই গরমকাল শুরু হওয়ার আগে রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হল।
কী বলা হয়েছে রিপোর্টে ?
রিপোর্টে জানানো হয়েছে, পরিবেশ দূষণের কারণে প্রধানত ফুসফুসের রোগের হার বাড়তে পারে। যাদের অ্যাজমা, শ্বাসকষ্টের অথবা ক্রনিক ফুসফুসের রোগ রয়েছে তাদের সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে রিপোর্টে।
উষ্ণায়ন কীভাবে প্রভাব ফেলবে ফুসফুসে ?
বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে। এই তাপমাত্রা প্রভাব ফেলছে মানুষের শরীরে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বিশ্ব উষ্ণায়নের বড় কারণ পরিবেশ দূষণ। বাতাসে দূষণের পরিমাণ বাড়ছে। পার্টিকুলেট ম্যাটার ও বায়ুমণ্ডলের নিচের স্তরে ওজোন গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। এই পার্টিকুলেট ম্যাটার একটি অত্যন্ত ক্ষতিকর দূষক পদার্থ। ফুসফুসের রোগসহ একাধিক রোগের কারণ এই দূষক। ফলে স্বাস্থ্যের অবনতি কিছু অস্বাভাবিক নয়।
তাপামাত্রার হেরফেরেও বাড়ছে বিপদ
চিকিৎসকদের কথায়, তাপমাত্রার হেরফের বাড়ছে দূষণের সঙ্গেই। তাপমাত্রা ও সামগ্রিক আবহাওয়া বিভিন্ন ঋতুর পরিচায়ক। কিন্তু সেই দিন বদলে যাচ্ছে দিন দিন। বর্তমানে তাপমাত্রা বাড়ছে হুটহাট। যা থেকে শরীর খারাপ হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে।
কী বলছেন চিকিৎসকরা ?
সংবাদমাধ্যম আইএএনএসকে ফর্টিস শালিমার বাগের ফুসফুস রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বিকাশ মৌর্য বলেন, গত বছরে শীত অনেক কম সময় ছিল। তাপমাত্রা বেড়েছে দ্রুত। যার একটি ক্ষতিকর দিক হল ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের অতিসক্রিয়তা। তাপমাত্রা যত বেশি ওঠানামা করে, ততই তারা সক্রিয় হয়ে সংক্রমণ ছড়ায়। যার ফলে রোগ জ্বরজারিও বাড়তে থাকে। চলতি বছর তেমনটাই হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। উদাহরণ হিসেবে ডেঙ্গু ও জিকা ভাইরাসের কথাও বলা হচ্ছে। যেগুলি আদতে ভেক্টরবাহিত রোগ। এই ধরনের রোগ কিছু ভৌগলিক অঞ্চলে বেশি সক্রিয় হয়। সেই সক্রিয়তার ধরনও পাল্টে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।