Unhealthy Homemade Food: বাড়ির রান্না বলতে আমরা সবচেয়ে নিরাপদ রান্নাটা বুঝি। যা খেয়ে আমাদের পেট খারাপ থেকে শরীর খারাপ কোনওটাই হবে না। কিন্তু এই রান্নার জেরে আমাদের কখনও কখনও কিন্তু শরীর খারাপ হতে পারে। তার জন্য অবশ্যই দায়ী থাকে রান্নার ধরন ও উপকরণ। রান্নার মধ্যে কিছু জিনিস দিলে যেমন সেই রান্নার গুণ বেড়ে যায়,তেমনই কিছু জিনিস দিলে তাঁর গুণমান কমেও যেতে পারে। এগুলিকে আমরা রান্নার কিছু ভুল বলতে পারি। এই ভুলগুলি এড়িয়ে চললে অনেকটাই নিরাপদ হয় বাড়ির রান্না।
বাড়ির রান্না নিরাপদ রাখার উপায়
- অতিরিক্ত ফ্যাট রয়েছে এমন খাবার ওবেসিটির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই ফ্যাট কম রয়েছে এমন খাবারই রাঁধুন।
- অতিরিক্ত নুন রয়েছে এমন খাবার। সেই নোনতা খাবার যতই খেতে মুখরোচক হোক না কেন। নুন একদিকে যেমন রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে কিডনির সমস্যা করে। আর কিডনির সমস্য়া খাওয়াদাওয়ার অনেকটাই কিন্তু বন্ধ করে দিতে হয়।
- অতিরিক্ত চিনি রয়েছে এমন খাবারও মোটে ভাল না। অনেকেই মিষ্টি অন্ত প্রাণ। কিন্তু তাতেও লাগাম টানা প্রয়োজন।
- শরীরের রোজ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যালোরির দরকার পড়ে। তার বেশি ক্যালোরি শরীরে গেলে ফ্যাট হিসেবে জমতে থাকে। তাই বেশি ক্যালোরিযুক্ত খাবার না খাওয়াই ভাল।
- ডুবো তেলে ভাজা খাবার খেতে বেশ লাগে। কিন্তু শরীরের জন্য এই ধরনের খাবার মোটেই উপাদেয় নয়। তাই ডিপ ফ্রাই এড়িয়ে চলুন।
- ডুবো তেলে বা বেশি তেলে কোনও কিছু ভাজা হয়ে গেলে অনেকে সেই তেল রেখে দেন। পরে আবার অন্য কিছু ভাজেন বা রান্নায় দেন। এই অভ্যাস খুবই খারাপ। কারণ এক তেল দুবার ভাজলে তাতে প্রচুর পরিমাণে টক্সিন পদার্থ তৈরি হতে শুরু করে। এই টক্সিন শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের জন্য বিপজ্জনক।
- বাজার থেকে কিনে আনা বিভিন্ন প্রসেসড খাবার দিয়ে অনেকেই রান্না করেন। যেমন কেক, পেস্ট্রি ইত্যাদি বানান। এগুলি স্বাস্থ্য়ের ক্ষতি বৈ উপকার করে না। তাই চেষ্টা করুন একেবারে ঘরোয়া উপায়ে এই ধরনের খাবার বানাতে।
ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন - Cyclone Remal: ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নষ্ট হতে পারে এই ইলেকট্রনিক জিনিসগুলি, বড় ক্ষতি এড়াতে কী করবেন ?
আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।