কলকাতা: কর্মব্যস্ত যুগে দম ফেলার উপায় নেই। এর মধ্যে আবার রোদে গিয়ে দাঁড়ানো ? অনেকের মুখেই চলে আসে একটি কথা। সময় কোথায় ? সত্যিই সময়ের অভাব। আর সে কারণে শরীরে অভাব ঘটছে ভিটামিন ডি-এর। আমাদের শরীর নিজে থেকেই এই ভিটামিন সংশ্লেষ করতে পারে। তবে তার জন্য জরুরি পর্যাপ্ত সূর্যালোকের। খুব তীব্র নয় এমন রোদে গিয়ে ১০ থেকে ২০ মিনিট দাঁড়ালেই অনেকটা উপকার মেলে। তবে এই সময় এখনের অভাব। ভিটামিন ডি খাবারের থেকেও সংগ্রহ করা যেতে পারে। হালকা কিছু ফল ভিটামিন ডি-এর সেরা উৎস।
ভিটামিন ডি পাবেন কোন শুকনো ফলে (best fruits for vitamin D) ?
কিসমিস (Raisin for Vitamin D) - কিসমিসের প্রতি ১০০ গ্রামে ৮০ আইইউ-এর (ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট) বেশি ভিটামিন ডি রয়েছে। এছাড়াও এর মধ্যে ফাইবার ও আয়রনের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে।
আলুবোখরা (Prune for Vitamin D) - আলুবোখরার প্রতি ১০০ গ্রামে ভিটামিন ডি ৩ মিলিগ্রামেরও বেশি। তাই ঐই খাবারটাও রাখতে পারেন রোজকার তালিকায়।
আমন্ড (Almond for Vitamin D) - আমন্ডের মধ্যেও রয়েছে ভিটামিন ডি-এর গুণ। রোজ আমাদের যতটা ভিটামিন ডি জরুরি , তার প্রায় ১০ শতাংশ জোগান দেয় আমন্ড। আমন্ড খাওয়ার আগে কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রেখে দিতে পারেন।
খোবানি (Prunes for Vitamin D) - এতে প্রতি ১০০ গ্রামে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ ১.৫ আইইউ। এছাড়াও এতে পটাশিয়াম, আয়রন ও ভিটামিন এ রয়েছে। তাই রোজকার তালিকায় রাখতেই পারেন।
শুকনো ডুমুর ( Fig for Vitamin D) - ডুমুর ফলেও ভিটামিন ডি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে । প্রতি ১০০ গ্রামে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ ৩ আইইউ। পাশাপাশি ডুমুরের মধ্যে ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম ফাইবার ও পটাশিয়ামের পরিমাণ অনেকটাই বেশি।
কতটা ফল খাবেন (Daily Intake amount) ?
রোজ ফল খাওয়া ভালো। বিশেষত এই ফলগুলি শরীরে ভিটামিন ডি-এর চাহিদা মেটায়। কিন্তু রোজ অল্প পরিমাণ যেমন হাফ কাপের বেশি না খাওয়াই ভাল। অতিরিক্ত ভিটামিন ডি থেকে বমি, মাথা ঘোরার সমস্যা হতে পারে।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন - Body Odor: গায়ের দুর্গন্ধ স্নান করলেও যায় না ? কোন রোগের লক্ষণ ?