কলকাতা: বর্তমানে সময়ের রোগের মধ্যে ক্যানসার একটি গুরুতর রোগ। এটি এমন রোগ যা বয়স মানে না, আগে থেকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জানা যায় না এর উপস্থিতি। সেরে উঠতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। সেরে উঠলে কিছু ক্ষেত্রে রোগ ফিরে আসতে পারে। এমনকি দুর্ভাগ্যজনকভাবে অনেক ক্ষেত্রে রোগটি সারানো সম্ভব হয় না।


তবে বর্তমানে তরুণদের মধ্যে একটি বিশেষ ক্যানসারের প্রবণতা বাড়ছে। সেটি হল কোলন ক্যানসার। কিন্তু কেন এই বিশেষ ক্যানসারটিই বাড়ছে তরুণদের মধ্যে ? এর পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে বলে জানাচ্ছেন ক্যানসার বিশেষজ্ঞরা।


কেন তরুণদের মধ্যেই বেশি কোলন ক্যানসার ?


ইয়েল মেডিসিনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, তরুণদের মধ্যে কোলন ক্যানসার হওয়ার কোনও নির্দিষ্ট কারণ নেই। তবে জীবনযাপনের বেশ কিছু কারণ এর জন্য় দায়ী হতে পারে। সেই অভ্যাসগুলির মধ্যে রয়েছে মদ্যপান, ধূমপানের মতো দিক।



  • খাওয়াদাওয়া - কোলন খাদ্যতন্ত্রের অংশ। আর আমাদের খাওয়াদাওয়ার একটি বড় প্রভাব রয়েছে কোলনের উপর। বর্তমানে ফাস্টফুড ও প্রসেসড খাবারের বাজার অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। সমান হারে বেড়েছে তাদের ক্রেতাদের সংখ্যাও। তার প্রভাবই পড়ছে শরীরের উপর। এই ধরনের খাবার স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কোশকে ধবংস করতে থাকে। যার ফলে ক্যানসারের দিকে গড়ায় পরিস্থিতি। শুধু কোলন নয়, যেকোনও ক্যানসারই হতে পারে এই কারণে।

  • মদ্যপান ও ধূমপান - মদ্যপান লিভারের জন্য ক্ষতিকর। একই ভাবে ক্ষতিকর কোলনের জন্যও। অল্প বা বেশি কোনওরকম মদ্যপানই শরীরের জন্য উপকারী নয়। বরং সামান্য মদ্যপানের অভ্য়াস থেকেও ক্যানসারের আশঙ্কা থেকে যায়। একইরকম ক্ষতিকর ধূমপানও।


কী করলে কমবে ক্যানসারের ঝুঁকি ?



  • অভ্যাসে বদল - প্রথমেই রোজকার অভ্যাসে বদল আনা জরুরি। খাবারের মধ্যে থেকে বাদ দিতে হবে ফাস্টফুড ও প্রসেসড খাবার। 

  • ফাইবার জাতীয় খাবার - ফাইবার জাতীয় খাবার পাতে বেশি করে রাখতে হবে। এই ধরনের খাবার কোলনের জন্য উপকারী। নিয়মিত কোলন সাফ রেখে রোগের আশঙ্কা কমায় ফাইবার। শাকসবজিতে বেশি পরিমাণে ফাইবার থাকে। এই ধরনের খাবারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা একই সঙ্গে ক্যানসার প্রতিরোধ করে।

  • ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ - এই দুই ধরনের অভ্যাসই স্ট্রেস বাড়িয়ে কোশের ক্ষতি করে। তাই দুটি অভ্যাসই ত্যাগ করা দরকার।


আরও পড়ুন - Music Benefits: ঘুম আসে গান শুনে ? আর কখন কখন গান শুনলে উপকার ?