কলকাতা: বর্তমানে বহু এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা সামনে এসেছে, যা নাড়িয়ে দিয়েছে মানুষকে। সদ্ই প্রয়াত হয়েছেন জনপ্রিয় গায়ক কে কে (K K)। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে যা জানা গিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। এমন ঘটনা প্রথমবার নয়। এর আগেও বেশ কিছু তারকা হৃদরোগে (Heart Disease) আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন। প্রিয় তারকাদের এভাবে অকালে চলে যেতে দেখে শোকে বিহ্বল অনুরাগীরা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে আমাদের দেশের কমবয়সীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সবথেকে বেশি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু কেন কমবয়সীরা তুলনায় বেশি হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) শিকার হচ্ছেন? সে সম্পর্কে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


কমবয়সীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা-


কমবয়সীদের হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়ার ঘটনায় বিশেষজ্ঞরা বেশ কিছু নির্দিষ্ট কারণের কথা উল্লেখ করছেন। 


১. হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম বড় কারণ বর্তমানে স্ট্রেস। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমান প্রজন্ম অনেক বেশি স্ট্রেসের মধ্যে ভোগে। নানা কারণে স্ট্রেস দেখা দেয় তাদের মধ্যে। ব্যক্তিগত জীবন, পেশাগত জীবন, কাজের চাপ, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি এসবই কারণ হতে পারে স্ট্রেসের। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ধূমপান, মদ্যপান এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের প্রবণতা। এর ফলে রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাড়ছে মধুমেহ রোগের প্রবণতা। বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। এই সবই হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ।


আরও পড়ুন - Skin Infections: লম্বা নাকি বেঁটে, কাদের ত্বকে সবথেকে বেশি ইনফেকশনের সমস্যা দেখা দেয়?


২. এর পাশাপাশি হার্ট অ্যাটাকের কারণ হিসেবে লাইফস্টাইলকেও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, বর্তমান প্রজন্মের লাইফস্টাইল সবক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর থাকছে না। নিয়মিত শরীরচর্চা অভাব থাকছে। শরীরচর্চা না করার ফলে নানা অসুখের মাত্রাও বাড়ছে। এই সমস্ত কিছুই বাড়িয়ে দিচ্ছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।