কলকাতা: নাসপাতি (Pear)। আমাদের আশেপাশে দোকানে বাজারে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে। রসালো একটি ফল। খেতে পছন্দ করেন বহু মানুষ। তবে, এই ফল যে শুধুই খেতে ভালো তাই খাওয়া হয়, এমনটা কিন্তু নয়। নাসপাতির রয়েছে অনেক উপকারীতা। বিশেষজ্ঞরা জানান, নাসপাতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ফাইবার। ক্যালোরির মাত্রা এই ফলে খুবই কম থাকায়, বহু মানুষ খেতেও পছন্দ করেন। কিন্তু আর কী কী উপকারিতা রয়েছে এই ফলের? কেন অবশ্যই খাওয়া দরকার নাসপাতি (Pear Health Benefits)?


নাসপাতির উপকারিতা-


১. বিশেষজ্ঞরা জানান, নাসপাতি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। পেটের জন্য দারুণ উপকারী এই ফল। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আবার ওজন কমানোর জন্যও সাহায্য করে। তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, পেটের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্য অত্যন্ত উপকারী নাসপাতি।


২. পুষ্টিবিদদের মতে, নাসপাতিতে থাকা উপকারী উপাদান রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কম করতে সাহায্য করে। যাঁরা কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভূগছেন, তাঁদের জন্য এই ফল অত্যন্ত উপকারী। রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগ দূরে রাখতে সাহায্য করে নাসপাতি।


৩. কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর করায় নাসপাতি দারুণ উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। খাবার সঠিকভাবে হজম করাতে সাহায্য করে এই ফল। কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা রোজকার খাবারের তালিকায় রাখলে উপকার পাবেন।


আরও পড়ুন - Water: প্রয়োজনের তুলনায় বেশি জল খাচ্ছেন? অত্যধিক জল খেয়ে ফেললে কী হয় জানা আছে?


৪. মধুমেহ। ব্লাড সুগার। ডায়াবিটিস। যে নামেই এই রোগকে ডাকুন না কেন। এই রোগ শরীরের জন্য মারাত্মক। একবার শরীরে এই রোগ বাসা বাঁধলে তা চিরস্থায়ী। সম্পূর্ণভাবে এই রোগকে সারানো না গেলেও চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চললে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। মধুমেহ রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী নাসপাতি। অনেকেরই সংশয় থাকে, নাসপাতি মিষ্টি ফল হওয়ার ফলে তা কি রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একেবারেই তা নয়। বরং, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে নাসপাতি।


৫. এছাড়াও, বিভিন্ন রকমের ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে, ফুসফুস সুস্থ রাখতে এবং শরীরের আরও অনেক উপকার করে নাসপাতি।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।