কলকাতা: সারাদিনের শেষে একটু শান্তির ঘুম। এটুকু কে না চায়। কিন্তু ঘুম চাইলেই কি আর ঘুম আসে। অনেকের ঘুম আসতেও নানা টালবাহানা করে। কখনও কখনও দেখা যায় ঘুম এলই না। ঘুম শরীরের নানা ক্রিয়াবিক্রিয়ার জন্য একটি জরুরি প্রক্রিয়া। এর অভাবে শরীর ও মনের নানা ক্ষতি হয়। স্বল্পমেয়াদী ক্ষতির পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিও করে ঘুমের অভাব। ঘুমের প্রয়োজনীয়তার কথা মনে করিয়ে দিতেই পালন করা হয় বিশ্ব ঘুম দিবস। আগামী ১৫ মার্চ এই বিশেষ দিন। নিয়মিত নির্দিষ্ট সময় ঘুমের উপকার নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এই দিনটা পালন করা হয়।
বিশ্ব ঘুম দিবসের (World Sleep Day) ভাবনা বা থিম
প্রতি বছরই আলাদা আলাদা ভাবনা নিয়ে পালন করা হয় বিশ্ব ঘুম দিবস। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালেও তেমনই একটি ভাবনা রয়েছে। স্লিপ ইকুইটি ফর গ্লোবাল হেলথ-কেই এই বছর বিশ্ব ঘুম দিবসের থিম হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি মানুষেরই নির্দিষ্ট সময় ঘুম দরকার। আর সেটুকু সময় তাদের দেওয়া উচিত। দিনের শেষে ক্লান্ত থাকে শরীর ও মন। ঘুম দেহমনকে পুনরায় চাঙ্গা করে তোলে। তাই প্রত্যেকেরই নির্দিষ্ট সময় ঘুমোনোর সুযোগ পাওয়া উচিত।
বিশ্ব ঘুম দিবসের (World Sleep Day 2024) ইতিহাস
বিশ্ব ঘুম দিবস পালন করা শুরু হয় ২০০৮ সালে। এর নেপথ্যে ছিল ওয়ার্ল্ড স্লিপ সোসাইটি নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাদের উদ্যোগেই প্রথম এই দিনটি শুরু হয়। আধুনিক সময়ে সারা বিশ্বেই ঘুম প্রাধান্য় পাচ্ছে। একাধিক রোগ প্রতিরোধেও ঘুমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আর সেই ভূমিকার কথাই মনে করিয়ে দিতে চায় বিশ্ব ঘুম দিবস।
ঘুমোলে কী হয় ?
- ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা কমতে থাকে।
- সারাদিন আমাদের শরীর ও মন প্রচুর স্ট্রেস সামলায়। সেই স্ট্রেস কমিয়ে দেয় ঘুম।
- মেজাজ ভাল রাখার জন্য নিয়ম করে ঘুমোনো জরুরি। মস্তিষ্কের বিশ্রাম না হলে মেজাজ খারাপ হয়ে যেতে পারে।
- স্নায়ুতন্ত্রকে ভাল রাখে ঘুম। স্ট্রেসের কারণে মস্তিষ্কের বিভিন্ন স্নায়ুকোশের ক্ষতি হয়। তাদের মেরামত করে ঘুম।
- ভাবনাচিন্তায় আরও স্বচ্ছতা। ঘুমের অভাবে চিন্তাভাবনা গুলিয়ে যাওয়া, ভুল পদক্ষেপ নেওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন - Health Tips: রোগ প্রতিরোধ ছাড়াও দ্রুত ক্ষত সারায় ভিটামিন সি, কোন কোন খাবারে পাবেন ?