কলকাতা : ক্লান্ত ? খুবই ? কিছুতেই কাঙ্খিত ঘুমটা আর হচ্ছে না ? শুয়ে পড়েও এপাশ-ওপাশেই কেটে যাচ্ছে সময়? চেষ্টা-চরিত্রের পরও যদি আপনার ঘুমের দেখা নাই হয়, তাহলে কয়েকটা নিয়ম একটু মেনে চলা দরকার। বলা ভাল, বদলের দরকার।


মেনে চলুন ১০-৩-২-১-০ নিয়ম


পর্যাপ্ত ঘুম না হলে সারাদিন শুধুই গা ম্যাজম্যাজ বা মেজাজ বিগড়ে থাকাই নয়, তা হতে পারে প্রাণঘাতীও। ঘুমের অভাব ডেকে আনতে পারে একাধিক ব্যাধি। শারীরিক হোক বা মানসিক, ঘুমের ব্যাঘাত হয়ে উঠতে পারে মারাত্মক। ঘুমের চেষ্টা করেও যদিও ঠিকমতো সেটা না হয়, সেক্ষেত্রে মেনে চলুন ১০-৩-২-১-০ নিয়ম। ফিটনেস কোচ ক্রেম ব্যালেনটাইন যে টোটকা দিয়েছেন। যা আসলে জীবনশৈলী বা লাইফস্টাইলের ধরণে বদল।


কী কী বদল মেনে চলতে হবে ?


সংখ্যাগুলি আসলে ঘণ্টার হিসেব। ১০ অর্থাৎ প্রথম নিয়মটি হচ্ছে ঘুমতো যাওয়ার ১০ ঘণ্টা আগে শেষ ক্যাফিন (Caffine Intake) খেয়ে ফেলা। অর্থাৎ রাত-বিরেতে কফিতে চুমুক, ঘুমের স্বার্থে নৈব নৈব চ। ৩ সংখ্যাটি মিলের ক্ষেত্রে। অর্থাৎ ঘুমোতে যাওয়ার ৩ ঘণ্টা আগে সেরে ফেলতে হবে বড় খাওয়া। মদ্যপানের ক্ষেত্রেও এই একই সময় ব্যবধান প্রযোজ্য। ২ ঘণ্টা আগে থামাতে হবে কাজ। রাতের ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত দু-ঘণ্টা আগে গুটিয়ে ফেলতে হবে কাজ। ১ ঘণ্টা স্ক্রিন টাইমের নির্দেশক। শুতে গিয়ে মোবাইল (Mobile), ল্যাপটপ (Laptop) ঘাঁটা আসলে বারোটা বাজাচ্ছে ঘুমের। তাই ঘুমোনোর অন্তত এক ঘণ্টা আগে থেকে ছেঁটে ফেলতে হবে স্ক্রিন-টাইম (Screen Time)। আর শেষ শূন্যটা বেশ মজাদার। যেখানে বলা হচ্ছে, অ্যালার্ম বাজলে তা থামিয়ে ফের ঘুমোতে ফেরা নয়, পড়তে হবে উঠে। নিজেকেই নিজে বাঁধতে হবে ঘুম-অনুশাসনে।


শুরুর দিকে কঠিন মনে হলেও একবার শুরু করে এগোতে পারলে কিন্তু জীবনশৈলীর উন্নতির সঙ্গে ঘুমও হবে ঠিকমতো। আর রোজের অন্তত ঘণ্টা-সাতেক ঘুম শরীর-মনের জন্য একান্ত প্রয়োজন।


আরও পড়ুন- সুখ কেনা যায় টাকায়, কী বলছে গবেষণা?


ডিসক্লেমার (Disclaimer) : এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এই প্রকার কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্যে এবিপি লাইভের কোনও সম্পাদকীয় মতামত নেই। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।