এক্সপ্লোর
Advertisement
আইন তার কর্তব্য পালন করেছে, এনকাউন্টার নিয়ে বললেন সাইবারাবাদের পুলিশ কমিশনার
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আজকের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে যে অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিয়েছে, সে ব্যাপারে সজ্জনার বলেছেন, আমরা যে-ই আজকের ঘটনা বিবেচনা করে প্রশ্ন করুক, সেটা রাজ্য সরকার বা জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, যে-ই হোক, আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকেই জবাব দেব।
হায়দরাবাদ: হায়দরাবাদের এনকাউন্টার নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে সাইবারাবাদের পুলিশ কমিশনার ভি সি সজ্জনার জানিয়েছেন, আজ তদন্তের অঙ্গ হিসাবে চার অভিযুক্তকেই অপরাধের জায়গায় নিয়ে যায় পুলিশ। অভিযুক্তরা লাঠি নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে আমাদের কর্মীদের হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নিয়ে গুলি চালাতে থাকে। পুলিশ তাদের সাবধান করে দেয়, গুলিচালনা বন্ধ করতে বলে। কিন্তু তাতে কান না দিয়ে ওরা গুলি চালাতেই থাকে। তারপর আমরা বাধ্য হয়ে গুলি চালাই। এনকাউন্টারে ওদের মৃত্যু হয়। গুলির লড়াইয়ের মধ্যে দুজন পুলিশকর্মী জখম হন, তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের হেফাজত থেকে দুটি অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সজ্জনার আরও জানান, চার অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে গত ৪ ও ৫ ডিসেম্বর জেরা করি আমরা।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই হায়দরাবাদের ওই মহিলা পশু চিকিত্সকের গণধর্ষণ ও তাঁকে মেরে দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় স্তম্ভিত সারা দেশ। চার অভিযুক্ত রাতের শহরে তাঁর স্কুটার খারাপ হয়ে পড়েছে দেখে রীতিমত প্ল্যান করেই তাঁকে সাহায্য করার অছিলায় নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে দলবদ্ধ ভাবে অত্যাচার করে। যেখানে তাঁর ওপর নারকীয় নির্যাতন হয়, আজ সেখানেই অভিযুক্তদের সঙ্গে এনকাউন্টার হয় পুলিশের। সেখানে ওদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেদিনের ঘটনার রিকনস্ট্রাকশন বা পুনর্নির্মাণের জন্য। তখনই তারা আচমকা হামলা করে পুলিশের ওপর।
ঘটনাস্থলে এনকাউন্টারের সময় প্রায় ১০ জন পুলিশকর্মী ছিলেন বলেও জানান তিনি। সজ্জনার আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকেই সেদিন নির্যাতিত মহিলা পশুচিকিত্সকের মোবাইল ফোনটিও পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে কোনও কোনও মহল, ব্যক্তি পুলিশের চার অভিযুক্তকে এনকাউন্টারে মেরে ফেলা ঠিক হয়েছে কিনা, সেই প্রশ্ন তোলায় সাংবাদিক বৈঠকে সিপি দাবি করেন, আমি শুধু এটাই বলব যে, আইন তার কর্তব্য পালন করেছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আজকের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে যে অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিয়েছে, সে ব্যাপারে সজ্জনার বলেছেন, আমরা যে-ই আজকের ঘটনা বিবেচনা করে প্রশ্ন করুক, সেটা রাজ্য সরকার বা জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, যে-ই হোক, আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকেই জবাব দেব।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
কলকাতা
জেলার
জেলার
জেলার
Advertisement