সলিসিটর জেনারেল আরও বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে যদি কোনও আবেদনের বিষয়ে রায় না দেওয়া হয়, একমাত্র তাহলেই সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া অন্যদেরও সাজা কার্যকর করা যায় না। একজনের প্রাণভিক্ষার বিষয়ে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে জবাব না এলে অন্যদের সাজা স্থগিত রাখা যায় না। নিম্ন আদালত এক্ষেত্রে ভুল করেছে। মুকেশ সিংহ আইনের অপব্যবহার করেছে। পবন গুপ্তর দু’টি আলাদা ক্ষমার আর্জি জানানোর সুযোগ ছিল। ও সাজা পাওয়ার ২২৫ দিন পরে ২০১৭ সালে রিভিউ পিটিশন দায়ের করে। ও এখনও কিউরেটিভ পিটিশন বা রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমার আর্জি জানায়নি। যদি নিম্ন আদালতের রায় বহাল থাকে এবং পবন ক্ষমার আর্জি না জানায়, তাহলে কারও সাজাই কার্যকর করা যাবে না।’
মুকেশের আইনজীবী রেবেকা জন পাল্টা দাবি করেন, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মুকেশের ক্ষমাপ্রার্থনার অধিকার আছে। হাইকোর্ট ওকে পৃথকভাবে ফাঁসি দেওয়ার কথা বলতে পারে না। ও জঘন্যতম অপরাধ করলেও, আইনের সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার আছে।’ দু’পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর রায় স্থগিত রাখে আদালত।