নয়াদিল্লি: পেগাসাস থেকে রেহাই পায়নি সেনাও। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন। তৃণমূল সাংসদের ট্যুইট, সাংবাদিক, বিরোধী নেতা, বিচার বিভাগের সদস্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহকর্মীরা...এমনকি এখন সেনাও রেহাই পাচ্ছে না। এখানে কোনও অস্পষ্টতা নেই। এটা অপরাধ। এর জন্য কে দায়ী? পেগাসাস? সংসদে আজই আলোচনা চাই। প্রধানমন্ত্রী-কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে।


পেগাসাস-বিতর্কে আজও সংসদে সরব হয় তৃণমূল সহ বিরোধী দলগুলি।  লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন আড়িপাতাকাণ্ডে সংসদে গঠনমূলক আলোচনার দাবিকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে। এই বিতর্কে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছে তৃণমূল। বাদল অধিবেশনে পেগাসাস নিয়ে অচলাবস্থা কাটাতে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও উদ্যোগই নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, লোকসভা ও রাজ্যসভায় রণনীতি স্থির করতে আজ ফের সংসদীয় দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাদল অধিবেশনে বেশ কয়েকটি বিল পাস করাতে মরিয়া মোদি সরকার। তার আগে পেগাসাস নিয়ে আলোচনা চেয়ে একজোট বিরোধীরা।


এরইমধ্যে রাজ্যসভার বিরোধী দলগুলির ফ্লোর নেতাদের একটি বৈঠকও হয়েছে। কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়্গের অফিসে এই বৈঠক হয়। সভায় তাঁরা যে বিভিন্ন ইস্যুগুলি উত্থাপন করছেন, সেগুলি নিয়ে কৌশল স্থির করতেই এই বৈঠক। এর আগে কংগ্রেস সাংসদ পেগাসাস প্রোজেক্ট রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার জন্য লোকসভায় মুলতুবী প্রস্তাব জমা দেন। অভিযোগ, ৩০০ জনের বেশি ভারতীয়র মোবাইল নম্বর ইজরায়েলি কোম্পানির এনএসও-র পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে হ্যাকিংয়ের নিশানা করা হয়েছে। যদিও সরকার এই ঘটনায় বিরোধীদের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।


এদিনও শুরু থেকেই পেগাসাস, কৃষি বিল সহ বিভিন্ন ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদের উভয় কক্ষই। পেগাসাস সহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে লোকসভা পৌনে তিনটে পর্যন্ত ও রাজ্যসভা দুপুর তিনটি পর্যন্ত মুলতুবী করে দেওয়া হয়।