Ahmedabad Plane Crash: আমদাবাদে বিমান বিপর্যয়, নজরে ব্ল্যাক বক্স; কীভাবে মিলবে তথ্য?
Air India Flight Crash: তখনও যাত্রীরা জানতেন না, লন্ডন নয়, ধীরে ধীরে মৃত্য়ুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। কয়েক সেকেন্ডের মধ্য়ে আচমকা ঝুপ করে নীচের দিকে নেমে যায় বিমান।

কলকাতা: আমদাবাদে বিমান বিপর্যয় ঘটল কীকরে? এই উত্তর মিলতে পারে বিমানের 'ব্ল্য়াক বক্স' থেকে। যে কারণেই বিমান বিপর্যয় ঘটে থাকুক সেটা যান্ত্রিক ত্রুটি হোক বা নাশকতা, সূত্র একমাত্র মিলতে পারে ব্ল্য়াক বক্স থেকেই। DGCA, ব্য়ুরো অফ সিভিল অ্য়াভিয়েশন, এয়ার ইন্ডিয়া ও বিমান নির্মাণকারী সংস্থা 'বোয়িং' এই বিমান বিপর্যয়ের তদন্ত করবে।
তখনও যাত্রীরা জানতেন না, লন্ডন নয়, ধীরে ধীরে মৃত্য়ুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। কয়েক সেকেন্ডের মধ্য়ে আচমকা ঝুপ করে নীচের দিকে নেমে যায় বিমান। তারপরই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ। ধ্বংসস্তূপ সরাতেই বেরোতে শুরু করে একের পর এক পোড়া দেহ। দেহগুলোর অবস্থা এমনই যে কোনটা কার দেহ, তা চিহ্নিত করতে এখন DNA পরীক্ষার প্রয়োজন। কিন্তু, এই বিপর্যয় ঘটল কেন তার উত্তর মিলতে পারে বিমানের 'ব্ল্য়াক বক্স' থেকে। কোনও বিমান বিপর্যয়ের পর খোঁজ শুরু হয় ব্ল্যাক বক্সের। কারণ যাবতীয় তথ্য পাওয়া যায় এই বক্স থেকেই। বিপর্যয়ের কবলে পড়া বিমান থেকে ব্ল্য়াক বক্স উদ্ধার করে তা DGCA-র অধীনস্থ ফরেনসিক ল্য়াবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য় পাঠানো হয়। তারপর বিশেষজ্ঞরা 'ব্ল্য়াক বক্স' থেকে তথ্য় উদ্ধার করে তা ডিকোড করেন। ফ্লাইট ডেটা, রাডার লগ, ATC রেকর্ড ঘেঁটে বিপর্যয়ের কারণ জানার চেষ্টা হয়।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করতে তৈরি হয়েছে উচ্চপর্যায়ের কমিটির দিকে। বিশেষজ্ঞরা সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন বিমানের ব্ল্য়াক বক্স উদ্ধারের ওপর। কারণ, যে কারণেই বিমান বিপর্যয় ঘটে থাকুক, সেটা যান্ত্রিক ত্রুটি হোক বা নাশকতা সূত্র একমাত্র মিলতে পারে ব্ল্য়াক বক্স থেকেই। পোশাকি নাম ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার। বিমানের যাবতীয় তথ্য় এর মধ্য়েই নথিবদ্ধ হয়। বিমান কত উচ্চতায় উড়েছে, কত গতিবেগে উড়েছে, বিমান কোন পথে এগিয়েছে, ইঞ্জিন কী অবস্থায় ছিল, সমস্ত তথ্য় জমা হয় এই ব্ল্য়াক বক্সে। বোয়িংয়ের অত্য়াধুনিক বিমানে সেকেন্ড সেকেন্ডে ককপিট থেকে দেওয়া কমান্ড ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে ধরা পড়া ককপিটের কথোপকথন, রেডিও ট্রান্সমিশন, ওয়ার্নিং অ্য়ালার্ম এবং অন্য়ান্য় যান্ত্রিক শব্দও 'ব্ল্য়াক বক্সে' সংরক্ষিত থাকে। ফলে কোন কারণে বিমান বিপর্যয় ঘটে থাকতে পারে, সেই তথ্য় একমাত্র মিলতে পারে ব্ল্য়াক বক্স থেকে।
বিমান দুর্ঘটনায় গতকাল রাতে প্রথম দফার উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে। আজ সকাল থেকে ফের শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। সেনা এবং NDRF-এর সঙ্গে হাত লাগিয়েছে সিভিল ডিফেন্স ও স্থানীয় পুলিশ। বিমান দুর্ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের জন্য টিম গঠন করা হয়েছে। এদিন সকালেই আমদাবাদে পৌঁছে গিয়েছে ব্রিটেনের বিশেষজ্ঞ দল। সাতসকালে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছন এয়ার ইন্ডিয়ার CEO।






















