Ahmedabad Plane Crash: ‘পড়ে যাচ্ছি…MAYDAY, MAYDAY’, শেষ বার্তায় কী বলেন অভিশপ্ত বিমানের পাইলট? এবার সামনে এল
Air India Plane Crash: জানা গিয়েছে, বিপদ বুঝতে পেরেই এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলে বার্তা পাঠিয়েছিলেন বিমানের পাইলট।

আমদাবাদ: মাটি ছাড়ার কয়েক মুহূর্ত পরই বিপদ বুঝে গিয়েছিলেন। বুঝতে পেরেছিলেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। সেই আবহে কন্ট্রোল রুমে জরুরি বার্তা পাঠিয়ে গিয়েছিলেন আমদাবাদে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের পাইলট। কিন্তু বিপদ বোঝাতে MAYDAY Call-এ কী বার্তা দিয়েছিলেন পাইলট, এবার তা সামনে এল। বিশেষ সূত্রকে উদ্ধৃত করে পাইলটের শেষ কথোপকথন সামনে এনেছে 'এবিপি অস্মিতা'। (Ahmedabad Plane Crash)
জানা গিয়েছে, বিপদ বুঝতে পেরেই এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলে বার্তা পাঠিয়েছিলেন বিমানের পাইলট সুবীর সবরওয়াল। শেষ বার্তায় তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'থ্রাস্ট ইজ নট অ্যাচিভড...ফলিং...কমিউনিকেশন লাইন ডিউরিং দিস ট্রান্সমিশন ভেরি উইক...মেডে'। অর্থাৎ 'বল পাওয়া যায়নি...পড়ে যাচ্ছি। শক্তি কমছে। বিমান উপরে উঠছে না। আমরা বাঁচব না...যোগাযোগ ব্য়বস্থা দুর্বল...'। বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে বিমান এবং জাহাজ থেকে MAYDAY Call যায়। MAYDAY, MAYDAY বলে বিপদবার্তা পাঠানো হয়, যা আসে ফরাসি শব্দ m'aider থেকে এসেছে, যার অর্থ 'তাড়াতাড়ি এসে আমাকে সাহায্য করো'। (Air India Plane Crash)
বৃহস্পতিবার দুপুরে আমদাবাদের সর্দার পটেল বিমানবন্দর থেকে আকাশে ওড়ার কথা ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার AI171 বিমানটির। লন্ডন যাওয়ার কথা ছিল সোজা। কিন্তু মাটি ছাড়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিপদ নেমে আসে, এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্য়ে। রানওয়ে ছাড়ার পর আকাশ ছোঁয়ার পরিবর্তে সামান্য উড়েই তীব্র বেগে মাটির দিকে ধাবিত হয় বিমানটি।
বিমানবন্দরের গণ্ডি পেরিয়েই সোজা ডাক্তারি পড়ুয়াদের হস্টেলে ধাক্কা মারে বিমানটি। তার কিছুটা অংশ হস্টেলেরর বিল্ডিংয়ে আটকে যায়, অন্য অংশ সজোরে আছড়ে পড়ে মাটিতে। কর্মী-পাইলট মিলিয়ে বিমানে মোট ২৪২ জন যাত্রী সওয়ার ছিলেন। তাঁদের মধ্যে মাত্র একজন বেঁচে ফিরেছেন। বিমান আছড়ে পড়ে মারা গিয়েছেন ডাক্তারি পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষও।
এখনও পর্যন্ত যা খবর, আমদাবাদে বিমান বিপর্যয়ে ক্রমেই বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। বিমান দুর্ঘটনায় ২৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদসংস্থা AFP সূত্রে খবর। এখনও ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হচ্ছে মৃতদেহ, দেহাংশ। শনিবার দুর্ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে NSG, NDRF, বায়ুসেনা, ফরেন্সিক টিম, ফায়ার রেসকিউ ফোর্স, DGCA, CISF এবং এয়ারক্র্যাফট অ্য়াক্সিডেন্ট ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর টিম।
কী কারণে ভয়াবহ বিমান বিপর্যয়? তা এখনও জানা যায়নি। বিমান নিরাপত্তা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রামমোহন নায়ডু। হাই লেভেল মাল্টি ডিসিপ্লিনারি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিশপ্ত বিমান সম্পর্কে জানতে চেয়ে এয়ার ইন্ডিয়াকে চিঠি দিয়েছে ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন। ১৩ দিনের মধ্যে জানাতে হবে উড়ানের রেজিস্ট্রেশন ডিটেল, মেনটেনেন্স হিস্ট্রি, ট্র্যাক রেকর্ড-সহ যাবতীয় তথ্য।






















