(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Rahul Gandhi: 'সম্পূর্ণ মিথ্যা', লাদাখ-ইস্যুতে ফের প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা রাহুলের
Ladakh Issue : তাঁর আরও অভিযোগ, লাদাখে এক ইঞ্চিও জমি চিন নিতে পারেনি দাবি করে মিথ্যা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
কার্গিল : দক্ষিণ আফ্রিকায় (South Africa) BRICS সম্মেলনের যোগ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে আলোচনার আবহেই চিনের (China) সঙ্গে সীমান্ত ইস্যু তুলে আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi)। তাঁর বক্তব্য, ভারতের জমি দখল করেছে PLA। লাদাখে এক ইঞ্চিও জমি চিন নিতে পারেনি দাবি করে মিথ্যা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
লাদাখের কার্গিলের এক ব়্যালিতে যোগ দিয়ে এদিন কংগ্রেস সাংসদ বলেন, "লাদাখ হচ্ছে কৌশলগত জায়গা। একটা জিনিস পরিষ্কার যে, চিন ভারতের জমি নিয়েছে। এটা খুবই দুঃখের যে প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের বৈঠকে বলেছেন, চিন লাদাখের এক ইঞ্চি জমিও নিতে পারেনি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।"
গত সপ্তাহ থেকে লাদাখে রয়েছেন ওয়েনাড়ের সাংসদ। কার্গিল যুদ্ধের স্মৃতিশৌধে শহিদদের উদ্দেশে মালা দেবেন তিনি। এরপর শ্রীনগর যাওয়ার পথে, দ্রাসের মানুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য থামবেন রাহুল।
বৃহস্পতিবার ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় কাতরা জানিয়েছিলেন, 'পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অমীমাংসিত বিষয় নিয়ে ভারতের ভাবনার কথা শি-কে জানিয়েছেন মোদি।' তবে চিনের তরফে দাবি করা হয়েছে, উভয় রাষ্ট্রনেতার মধ্যে বুধবার স্পষ্ট ও গভীর আলোচনা হয়েছে।
এই আবহে লাদাখ ইস্যুতে সুর চড়ান রাহুল। পাশাপাশি, "ভারত জোড়ো যাত্রার কথা তুলে ধরেন। কংগ্রেস নেতা বলেন, "কয়েক মাস আগে আমরা ভারত জোড়ো যাত্রায় কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত হেঁটেছি। এর লক্ষ্য ছিল, বিজেপি ও আরএসএস দেশে যে ঘৃণা ও হিংসা ছড়াচ্ছে তার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। যাত্রার সময় আমি লাদাখে আসতে পারিনি। শীতের তুষারের কারণে। লাদাখে যাত্রা করার ইচ্ছা আমার মনে ছিল এবার এবার মোটরবাইকে তা এগিয়ে নিয়ে গেছি।"
মোদিকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, "অন্যান্য নেতারা তাঁদের 'মন কি বাত' বলতে ব্যস্ত। আমি আপনাদের 'মন কি বাত' শুনতে চাইছিলাম। একটা বিষয় পরিষ্কার- গাঁধীজি ও কংগ্রেসের মতাদর্শ রয়েছে লাদাখের রক্ত ও ডিএনএ-তে রয়েছে।"
গত ২০ অগাস্ট লাদাখের প্যাংগং সো হ্রদের ধারে বাবা রাজীব গাঁধীকে জন্মদিনের শ্রদ্ধা জানান ওয়েনাড়ের সাংসদ। পরে তিনি বলেন, "চিন আমাদের জমি দখল করে নেওয়ায় এখানকার স্থানীয় মানুষজন চিন্তিত। ওঁরা বলছেন, চিনের বাহিনী তাঁদের চারণ ভূমি দখল করে নিয়েছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক ইঞ্চিও জমি নেয়নি। এটা সত্যি নয়। এখানকার যাকে হোক আপনি জিজ্ঞাসা করতে পারেন।"