বাড়িটি ভেঙে পড়ার আগেই সেখানকার বাসিন্দারা আশঙ্কা করেছিলেন। সন্ধেয় বৃষ্টি নামতে তাঁরা ছুটেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের কাছে। চিঠি লিখে আর্জি জানান, বাড়িটি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। যে কোনও সময় কিছু ঘটে যেতে পারে। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ, পুরকর্মীদের নিয়ে বাড়িটির কাছে যান স্থানীয় কাউন্সিলর। আর তখনই ভেঙে পড়ে পুরনো বাড়িটি।
২০-২২ জন বাড়িটির মধ্যে আটকে পড়েন। দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ও পুর কর্মীরা গিয়ে শুরু করেন উদ্ধারকাজ। এভাবে একটি বাড়ি ভেঙে পড়া সত্ত্বেও বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে কারণ, আগে থেকেই বাড়ির সামনের অংশে যাঁরা বসবাস করেন, তাঁদের কেউ কেউ বাড়ির পিছনের দিকে চলে গিয়েছিলেন। অনেকে বেড়িয়ে এসেছিলেন বাড়ি থেকে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছন মেয়র শোভন চট্টেপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমাকে চিঠি লেখার কিছুক্ষণের মধ্যে ভেঙে পড়ে। অসমর্থিত সূত্রে জানা গিয়েছে, দুজন আটকে পড়েছেন। গোটা বাড়িটা ভেঙে ফেলা হবে।
কলকাতায় এমন পুরনো বাড়ি অনেক রয়েছে। পুরসভা বিপজ্জনক বাড়ি বলে সতর্ক করে। বাড়ি ভেঙে দিতে বলে। কিন্তু, বিপদ মাথায় নিয়েই সে সব বাড়িতে অনেকে বসবাস করে চলেছেন। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে এবার পদক্ষেপ নিতে চলেছে পুরসভা। মেয়র বলেন, বিপজ্জনক বাড়ি বলে বোর্ড লাগানো হয়। বাড়িওয়ালা বাড়ির মেরামতি করে না। ভাড়াটিয়া কম ভাড়ায় থাকতে পারে বলে ওঠে না। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের সহ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। বৃহস্পতিবারই আলোচনা হবে।
বাড়িটি ভেঙে পড়ার পর পাথুরিয়াঘাট স্ট্রিটে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ব্যারিকেড তৈরি করে পে লোডার দিয়ে চালানো হয় উদ্ধারকাজ।