New Delhi Stamped Case: গাইড লাইন রয়ে গেল কেবল খাতায় কলমেই! নয়াদিল্লিতে পদপিষ্ট পরিস্থিতিতে মানা হল না কিছুই!

Mahakumbh 2025: ভিড় নিয়ন্ত্রণে একেবারে ব্যর্থ! চূড়ান্ত গাফিলতি! আর তার জেরেই প্রাণ চলে গেল এতগুলো মানুষের! তাও কোথায়? দেশের রাজধানীর ব্যস্ততম রেল স্টেশনগুলোর মধ্যে অন্যতম, নয়া দিল্লিতে!

Continues below advertisement

অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: ছাড়ার ন্যূনতম আধঘণ্টা আগে প্লাটফর্মে ট্রেন দেওয়া, অতিরিক্ত ভিড় হলে টিকিট বিক্রি বন্ধ করা থেকে স্টেশনে সিনিয়র আধিকারিকদের উপস্থিতি। বিভিন্ন সময়ে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য একাধিক উপায়ের কথা বলে এসেছে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। অভিযোগ, যার অনেকগুলিই মানা হয়নি শনিবার। যা নিয়ে সরব হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। 

Continues below advertisement

এক কথায় টোটাল মেস! ভিড় নিয়ন্ত্রণে একেবারে ব্যর্থ! চূড়ান্ত গাফিলতি! আর তার জেরেই প্রাণ চলে গেল এতগুলো মানুষের! তাও কোথায়? দেশের রাজধানীর ব্যস্ততম রেল স্টেশনগুলোর মধ্যে অন্যতম, নয়া দিল্লিতে! প্রাক্তন রেল কর্তা সঞ্জয় ঘোষের প্রশ্ন, 'কুম্ভের ফলে এত ভিড় হচ্ছে, সেটা তো জানাই ছিল। তা হলে সেটা অ্যাসেস করতে এরকম ব্লান্ডার হল কেন?' স্টেশন-সহ রেলে, ভিড়ের চাপে ঘটে যাওয়া একাধিক ঘটনায়, অতীতে তদন্ত করেছে কেন্দ্রের অসামরিক বিমানপরিবহণ মন্ত্রকের অধীনস্থ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি বা CRS। সেইসময় তদন্তে যা উঠে এসেছে, তার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে কিছু স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা SOP। যার মধ্যে রয়েছে, বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে সাধারণ ট্রেন বা স্পেশাল ট্রেনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম আধঘণ্টা আগে রেক প্লাটফর্মে দেওয়া। জেনারেল কোচ, স্লিপার, AC কোচের অবস্থান কীরকম সেটা বোর্ডে ডিসপ্লে করা। 

শনিবার নয়াদিল্লি স্টেশনে দেরিতে রেক প্লাটফর্মে দেওয়া, বিভ্রান্তিমূলক ঘোষণার অভিযোগ সামনে এসেছে। শেষমুহূর্তে ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম বদল করা একপ্রকার অপরাধ। একেবারে বাধ্য না হলে সেটা করা উচিত নয়। কিন্তু শনিবার সেই ঘটনাই ঘটে নিউ দিল্লি স্টেশনে। ৩ নম্বরের প্লাটফর্ম চেঞ্জ করে ১৪ করে দেওয়া হয়েছে, যেটা ১২ ছিল সেটা ১৬ করে দেওয়া হয়েছে। প্রাক্তন রেল কর্তা, সঞ্জয় ঘোষ বলছেন, 'প্লাটফর্মে বদল হয়, সেটা ক্রিমিনাল অফেন্সের মতো। বলা আছে যাতে বদল না হয়।'

CRS-এর গাইডলাইনে বলা রয়েছে, হঠাৎ করে কোনও স্টেশনে বা নির্দিষ্ট কোনও ট্রেনের ক্ষেত্রে যাত্রীর সংখ্যা অস্বাভাবিক বেড়ে গেলে বন্ধ করে দিতে হবে অসংরক্ষিত টিকিট বিক্রি। নয়াদিল্লি স্টেশনে শনিবার মানা হয়নি সেই নিয়ম। অভিযোগ, প্রতি ঘণ্টায় প্রয়াগরাজ যাওয়ার ট্রেনের জন্য গড়ে দেড় হাজার অসংরক্ষিত টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। নিয়মে বলা আছে, অস্বাভাবিক ভিড়ের ক্ষেত্রে পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে শুধুমাত্র রেকর্ডিং না চালিয়ে ম্যানুয়ালি ঘোষণা করতে হবে। বারবার বলতে হবে, কোন ট্রেন কত নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসছে, কতক্ষণের মধ্যে আসছে, কতক্ষণ দাঁড়াবে, সেসব ঘোষণা করতে হবে। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে স্টেশনে সিনিয়র আধিকারিকদের উপস্থিত থাকতে হবে। কোনও নির্দিষ্ট জায়গায় যদি অস্বাভাবিক ভিড় হয়ে যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ছবি তুলে তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠাতে হবে। যাতে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিতে হবে। শনিবার অনেক ক্ষেত্রেই এসব নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ। 

প্রাক্তন রেল কর্তা, সঞ্জয় ঘোষ বলছেন, 'প্রচুর স্পেশাল ট্রেন যাচ্ছে কুম্ভের দিকে। সেটাও কম পড়েছে। প্রত্যেকটা ডিভিশনের একটা স্ট্রেন্থ আছে। সেটা দেখে নিয়েই কী ব্যবস্থা করা হয়েছিল?' ভিড়ের মধ্যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর জন্য মেডিক্যাল টিম তৈরি রাখার নির্দেশ রয়েছে। প্লাটফর্মে যাত্রীদের আগাম লাইন করা এবং বিভিন্ন কামরার সামনে রক্ষী মোতায়েন করার কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু শনিবার নয়াদিল্লি স্টেশনে এসব নিয়মের একটাও মানা হলে কি এতগুলি মানুষকে প্রাণ দিতে হত?

আরও পড়ুন: Delhi Stamped Mahakumbh: প্রথমে গুজব বলে বিবৃতি, বয়ান বদল! নয়াদিল্লিতে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল?

 

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola