Bangladesh News:সংরক্ষণ-বিতর্কে বাংলাদেশে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি, ভারতীয়দের জন্য বিশেষ নির্দেশ হাই কমিশনের
Indian High Commission Issues Advisory: ৬ জনের প্রাণহানির পাশাপাশি আহত শতাধিক। গুরুতর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার।
ঢাকা: সংরক্ষণ-বিতর্কে বাংলাদেশে (Bangladesh) অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। একদিকে লাঠিসোঁটা হাতে আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে, সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনী। একদিকে আন্দোলনকারীরা ইট-পাটকেল ছুড়ছে। পাল্টা নিরাপত্তা বাহিনীর দিক থেকে শোনা যাচ্ছে গুলি-বোমার শব্দ। আন্দোলনের আঁচে জ্বলছে ঢাকা-সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। ৬ জনের প্রাণহানির পাশাপাশি আহত শতাধিক। গুরুতর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। এই অশান্ত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয়দের জন্য বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় হাই কমিশন (Indian High Commission, Dhaka)।
ভারতীয় হাই কমিশনের তরফে অ্যাডভাইসরি রিপোর্টে বলা হয়, 'বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় সম্প্রদায়ের সদস্য এবং বাংলাদেশে পড়তে আসা পড়ুয়াদের বাইরে না বেরনোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্ব-স্ব স্থানে থাকুন। কোথাও ভ্রমণের জন্য বেরবেন না।'
India's High Commission in Dhaka issues advisory for the Indians living in Bangladesh amid the ongoing situation in the south Asian nation.
— Press Trust of India (@PTI_News) July 18, 2024
"The Indian community members and the Indian students residing in Bangladesh are advised to avoid travel and minimize their movement… pic.twitter.com/JvxRxKOGuw
সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ-বিতর্ক নিয়েই অশান্তির সূত্রপাত। মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ বাতিলের দাবি জানান হয়। ১৯৭২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মুজিবর রহমান বাংলাদেশে সংরক্ষণ-ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। যেখানে ৩০ শতাংশ সরকারি চাকরি মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য সংরক্ষিত রাখার কথা বলা হয়। কিন্তু এই সংরক্ষণের বিরুদ্ধে ডাক ওঠে। সেই ইস্যুই নিয়েই দেশের অন্দরে কার্যত যুদ্ধের চেহারা নেয়।
আন্দোলনকারীদের দাবি, এই সংরক্ষণের জন্যই সরকারি চাকরির সুযোগ পাচ্ছে না সাধারণ মেধাবীরা। অন্যদিকে, হাসিনা সরকারের দাবি, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাতেই তাঁদের পরিবারের জন্য় ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ। এদিকে সংরক্ষণ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ে জাহাঙ্গির নগর এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও। পথে নামে হাজার হাজার ছাত্র। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বাসে। আন্দোলনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বিভিন্ন হাইওয়ে।
শেখ হাসিনার দল, আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠন, ছাত্র লিগের নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ বাধে আন্দোলনকারীদের। কোথাও কোথাও বিশ্ববিদ্য়ালয় থেকে ঘর থেকে বার করে দিয়ে, সেখানে ভাঙচুর চালানো হয়। পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী নামানো হলেও, পরিস্থিতি মোটেই আয়ত্তে আসেনি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে