Aadhaar Voter ID Linking:আধারের সঙ্গে ভোটার কার্ডের সংযুক্তি সহ আরও কিছু প্রস্তাব, আজ পেশ নির্বাচনী সংস্কার বিল
তৃতীয় যে বদল হতে চলেছে তা হল, ভোটার তালিকায় নাম তোলা সংক্রান্ত। বর্তমান আইন অনুসারে, ১ জানুয়ারি বা তার আগে ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে যাঁদের, তাঁদের ভোটার হিসেবে নাম নথিভূক্ত করার অনুমতি দেওয়া হয়।
নয়াদিল্লি: লোকসভায় আজ আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু নির্বাচনী সংস্কার সংক্রান্ত বিল ২০২১ (Electoral Reforms Bill) পেশ করবেন। এই বিলের মাধ্যমে ১৯৫০-র জন প্রতিনিধিত্ব আইন ও ১৯৫১-র জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে পরিবর্তন করা হবে। নির্বাচনী সংস্কারের ক্ষএত্রে এই বিলকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই পরিবর্তনগুলিতে অনুমোদন দেওয়া হয়।
এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হতে চলেছে ভোটার পরিচয়পত্র নিয়ে। আজ যে বিল পেশ করা হবে, তার খসড়ায় বলা হয়েছে যে, ভোটার তালিকায় একই নামের পুণরাবৃত্তি ও ভুয়ো ভোট রুখতে ভোটার পরিচয়পত্রের সঙ্গে আধার কার্ড যুক্ত করা হবে। শুধু তাই নয়, ভোটার তালিকাকেও আধার কার্ডের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব রয়েছে বিলে। সূত্রের খবর, আপাতত, এই সংযুক্তিকরণকে ঐচ্ছিক বা বিকল্প বলে বলা হচ্ছে। এর অর্থ হল, ভোটারদের তাঁদের ভোটার পরিচয় পত্রের সঙ্গে আধার কার্ড সংযুক্তির বিকল্প দেওয়া হবে।
নির্বাচনী সংস্কার বিলে কী বদল হবে
চলতি বছরের ১৭ মার্চ সংসদে এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তৎকালীন আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ জানিয়েছিলেন যে, নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার সঙ্গে আধার ব্যবস্থার সংযুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে, যাতে কেউ ভিন্ন ভিন্ন স্থানে একাধিকবার নাম নথিভূক্ত করতে না পারে। বিলে যে দ্বিতীয় পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা হল লিঙ্গ-সমতা সংক্রান্ত। চলতি আইন অনুসারে, কোনও সেনাকর্মীর স্ত্রী সার্ভিস ভোটার হিসেবে নথিভূক্ত হতে পারেন। কিন্তু কোনও মহিলা আধিকারিকের স্বামী সার্ভিস ভোটার হিসেবে নথিভূক্ত হতে পারেন না। সেনা ভোটারদের পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটদান করার সুবিধা দেওয়া হয়। বর্তমান আইন অনুসারে, মহিলা সেনা কর্মীর স্বামী এই সুবিধা পান না।
তৃতীয় যে বদল হতে চলেছে তা হল, ভোটার তালিকায় নাম তোলা সংক্রান্ত। বর্তমান আইন অনুসারে, ১ জানুয়ারি বা তার আগে ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে যাঁদের, তাঁদের ভোটার হিসেবে নাম নথিভূক্ত করার অনুমতি দেওয়া হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২০২২-র ২ জানুয়ারি কারুর বয়স ১৮ পার করলে তাঁকে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে ২০২৩-এর ১ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। নয়া প্রস্তাবে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে ভোটারদের প্রতি তিন মাসে একবার অর্থাৎ বছরে চার বার সুযোগ দেওয়া হবে।