ভোপাল: কপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিংহকে চোখের জলে চিরবিদায় জানাল মধ্যপ্রদেশের ভোপাল। ভোপালের বাসিন্দা ছিলেন বরুণ সিংহ। গত ৮ ডিসেম্বর তামিলনাড়ুর কুন্নুরে ভেঙে পড়েছিল সেনার কপ্টার। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আগেই মৃত্যু হয়েছিল জেনারেল বিপিন রাওয়াত সহ ১৩ জনের। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিংহ। গত বুধবার হাসপাতালে থেমে যায় জীবনের সঙ্গে তাঁর লড়াই। প্রয়াত হন গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিংহ।
শৌর্য চক্র প্রাপ্ত বায়ুসেনার অফিসার বরুণ সিংহকে অন্তিম শ্রদ্ধা জানান মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। ভোপালের বৈরাগড় শ্মশানে গিয়ে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী।
বেঙ্গালুরুর কম্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বায়ুসেনার অফিসার বরুণ সিংহ। তাঁকে তামিলনাড়ুর কুন্নুরের ওয়েলিংটন থেকে বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। আধিকারিক সূত্রে খবর, হাসপাতালে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে ছিলেন বরুণ সিংহ। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশেষ বিমানে বরুণ সিংহর দেহ ভোপালে নিয়ে আসা হয়।
গত বুধবার তাঁর মৃত্যু হয়। শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইট করে বলেন, দেশের প্রতি তাঁর অমূল্য সেবা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
কপ্টার দুর্ঘটনার দিন সুলুর এয়ারবেসে সস্ত্রীক জেনারেল রাওয়াতকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন গ্রুপ ক্যাপটেন বরুণ সিংহ। দায়িত্ব ছিল, জেনারেল রাওয়াতকে কলেজের অনুষ্ঠানে পৌঁছে দেওয়া। ওয়েলিংটনের ডিফেন্স সার্ভিস স্টাফ কলেজেরই ডাইরেক্টিং স্টাফ হিসেবে কর্মরত গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং । কিন্তু ওয়েলিংটনে পৌঁছনোর আগেই ভয়াবহ কপ্টার ক্র্যাশ। একমাত্র জীবিত উদ্ধার করা হয় বরুণ-কে। আদতে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ার রুদ্রপুরের বাসিন্দা বরুণরা। বাবা কর্নেল কে পি সিং অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক। বরুণের ভাই তনুজ, নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার। আগাগোড়াই ডাকাবুকো গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিংহ।
২০২০-র ১২ অক্টোবরে বায়ুসেনার তেজস বিমান ওড়াবার সময়, সেটি হঠাৎ অকেজো হয়ে যায় মাঝ আকাশে। প্রায় ১০ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে ধীরে ধীরে সেই বিমানকে নীচে নামিয়ে নিয়ে আসেন বরুণ। আর এই অসমসাহসিকতার জন্য গত অগস্ট মাসে, স্বাধীনতা দিবসে শৌর্যচক্রে সম্মানিত করা হয় গ্রুপ ক্যাপটেন বরুণ সিংহকে।