Sedition Law : আপাতত স্থগিত রাষ্ট্রদ্রোহ আইন, এখন এই আইনে কোনও মামলা নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট
রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে যাঁরা জেলে বন্দি রয়েছেন, তাঁরাও জামিনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। জানাল সুপ্রিম কোর্ট।
বিজেন্দ্র সিংহ, নয়া দিল্লি : আপাতত স্থগিত রাষ্ট্রদ্রোহ আইন (sedition law) । কেন্দ্র পুনর্বিবেচনা না করা পর্যন্ত রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে কোনও মামলা নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট (The Supreme Court ) । ইতিমধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে যে সমস্ত মামলা রুজু হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে না কেন্দ্র অথবা রাজ্য সরকার। এছাড়া, রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে যাঁরা জেলে বন্দি রয়েছেন, তাঁরাও জামিনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। জানাল সুপ্রিম কোর্ট।
পুনর্বিবেচনা না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রদ্রোহ আইন স্থগিত রাখা হবে কিনা, মঙ্গলবার কেন্দ্রের কাছে তা জানতে চায় আদালত। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানায়, রাষ্ট্রদ্রোহ আইন পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া চলছে। যতদিন না তা শেষ হয়, ততদিন পর্যন্ত রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে কোনও মামলা রুজু হবে কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন সংশ্লিষ্ট এলাকার ঊর্ধ্বতন পুলিশ আধিকারিক। এরপরই রাষ্ট্রদ্রোহ আইন আপাতত স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
Sedition Law | Supreme Court allows the Central government to re-examine and reconsider the provisions of Section 124A of the IPC which criminalises the offence of sedition. Supreme Court says till the exercise of re-examination is complete, no case will be registered under 124A. pic.twitter.com/xrjHNyLbA6
— ANI (@ANI) May 11, 2022
মঙ্গলবার রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে প্রশ্নের মুখে সুপ্রিম কোর্টে নতুন হলফনামা দেয় কেন্দ্র। তাতে জানানো হয়, রাষ্ট্রদ্রোহ আইন পুনর্বিবেচনা করা হবে। হলফনামায় কেন্দ্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই আইন বিলোপের পক্ষে। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে আজাদি কা অমৃত মহোত্সবের মধ্যেই আইন বিলোপ জরুরি। তাই ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪(এ) ধারার পুনরায় পরীক্ষা ও পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামায় জানিয়েছে কেন্দ্র। এর আগে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছিল, রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বাতিলে তাদের সায় নেই। তবে প্রয়োগের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা প্রয়োজন।
এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন আইনমন্ত্রী অশ্বিনী কুমারের মত, স্বাধীন দেশে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। ব্রিটিশ জমানার এই আইনের অপব্যবহার নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল।