ঘর থেকে উদ্ধার বাবা-মা ও ছেলের ঝুলন্ত দেহ, জোকায় রহস্যমৃত্যু পরিবারের ৩ সদস্যের
কী কারণে মৃত্যু, খতিয়ে দেখছে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ
ঝিলম করঞ্জাই, ময়ুখ ঠাকুর চক্রবর্তী ও প্রবীর চক্রবর্তী, কলকাতা:
বাড়িতে অনেক পোষা পাখি ছিল। ২ দিন আগে সেই সব পাখি বিক্রি করে দেওয়া হয়। ২ দিন পর, উদ্ধার হল বাবা, মা, ছেলের ঝুলন্ত মৃতদেহ।
তাহলে কি পরিকল্পনা করে সপরিবারে আত্মহত্যা? না কি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ?
চাঞ্চল্যকর ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধছে ঠাকুরপুকুর থানা এলাকার জোকার হাঁসপুকুর মিত্রপাড়ায়।
প্রতিবেশীদের দাবি, বুধবার সকালে ডাকাডাকি করে কারও সাড়া না পাওয়ায় সন্দেহ হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে উদ্ধার করে ৩টি ঝুলন্ত দেহ।
ঘরের ২ টি ফ্যান থেকে ঝুলছিল বিধানসভা কর্মী চন্দ্রবত মণ্ডল, মা মায়ার দেহ। অন্য একটি ফ্যান টাঙানোর হুক থেকে ঝুলছিল ছেলে সুপ্রিয়র দেহ।
প্রতিবেশীদের দাবি, হাসিখুসি ছিলেন তিনজনই। সুপ্রিয় পেশায় ইঞ্জিনিয়র, পুণেতে ছিলেন। মাসখানেক আগে বাড়িতে ফিরে পাখি কেনাবেচা শুরু করেন।
কিন্ত কী এমন ঘটল যে একই ঘরে তিনজনের এভাবে মৃত্যু হল? হতবাক পাড়া পড়শি, আত্মীয়স্বজন।
মৃতের আত্মীয় ও পুলিশ সূত্রে দাবি, লক্ষ লক্ষ টাকার দেনা হয়ে গিয়েছিল পরিবারের। এমনকী বিদ্যুতের বিলও মেটানো হয়নি। মৃতের এক আত্মীয় জানান, ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিল। বেসরকারি সংস্থা থেকেও ঋণ নিয়েছিল।
দেনা মেটাতে না পারার জন্যই কি সপরিবারে আত্মহত্যা? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
পুণে থেকে ফিরে সুপ্রিয় পাখি কেনাবেচা শুরু করলেও ২ দিন আগে সব পাকি বিক্রি করে দেন। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি পরিকল্পনা করেই আত্মহত্যা করেছেন তিনজন? না হলে কেন সব পাখি বিক্রি করে দেওয়া হল?
ঘটনার তদন্তে নেমেছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখাও। পুলিশ সূত্রে দাবি, ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ওপরেই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নির্ভর করছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।