কলকাতা: হরিদেবপুরে ব্যবসায়ীর মৃত্যুতে নতুন মোড়। পাশের ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া খাতা ঘিরে রহস্য ঘনিয়েছে। পরিবারের দাবি ১ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা দেনা ছিল ব্যবসায়ীর। ডিপ্রেশনে আত্মঘাতী, নাকি অন্য কোনও রহস্য? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খাতায় থাকা হাতের লেখা কার? ব্যবসায়ীর নাকি, অন্য কারও? সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ছুরি, ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোনও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পর্ণশ্রীতে মা-ছেলের খুনের ঘটনার রহস্যভেদের আগেই হরিদেবপুরে ব্যবসায়ীর রহস্যমৃত্যু। চক রামনগর এলাকায় লেদ কারখানার মধ্যে মিলল প্রৌঢ়ের গলাকাটা দেহ। মৃতের নাম তপন দে। পরিবারের দাবি, প্রতিদিন সন্ধের আগেই কারখানা বন্ধ করে বাড়ি ফিরতেন ওই ব্যবসায়ী। গতকাল রাত ১১টার পরেও না ফেরায়, কারখানা লাগোয়া বাপের বাড়িতে ফোন করে খোঁজ নেন ব্যবসায়ীর স্ত্রী। শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা গিয়ে কারখানার মধ্যে গলার নলি কাটা অবস্থায় উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন ব্যবসায়ীকে।
এ দিন রাতেই ঘটনাস্থলে যায় লালবাজারের হোমিসাইড শাখা, আনা হয় স্নিফার ডগ। এই ঘটনায় মৃতের আত্মীয়-সহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ছুরি ও ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোন ও একটি খাতা। পুলিশ সূত্রে খবর, তাতে লেখা রয়েছে এই তথ্য।
মৃতের পরিবারের দাবি, জিএসটি সংক্রান্ত কারণে ১ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা দেনা ছিল ওই ব্যবসায়ীর। তা নিয়ে মানসিক অশান্তিতে ছিলেন। তাই আত্মহত্যা নাকি খুন, খতিয়ে দেখছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ।
বেহালার পর ৫-৬ কিলোমিটার দূরত্বে হরিদেবপুরের চক রামনগরে নিজের লেদ কারখানার মধ্যে খুন হলেন প্রৌঢ় ব্যবসায়ী। মিলল ৫৫ বছরের তপন দে-র গলাকাটা দেহ। ব্যবসায়িক শত্রুতা নাকি, ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে খুন খতিয়ে দেখছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনায় মৃতের আত্মীয়-সহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় উঠছে একাধিক প্রশ্ন। কারখানার মধ্যে নৃশংসভাবে খুন হলেও, কেন টের পেলেন না লাগোয়া শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা? প্রতিদিন সন্ধের আগে বাড়ি ফিরলেও, ওই দিন কেন কারখানাতেই ছিলেন ব্যবসায়ী? খুনের পিছনে পরিচিত কারও হাত? সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Kolkata: শহরে ফের নৃশংস মৃত্যু, গলার নলি কেটে খুন প্রৌঢ়কে
আরও পড়ুন: South 24 Parganas: বারুইপুরে টাকার দাবিতে 'খুন' বধূ, পলাতক স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা