পার্থপ্রতিম ঘোষ, ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: গভীর রাতে অপহরণে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসুস্থ উল্টোডাঙা থানার সেকেন্ড অফিসার। হাসপাতালে চিকিৎসা শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু। উৎসবের আবহে এমনই ঘটনার সাক্ষী হল কলকাতা। সহকর্মীর অকাল মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ উল্টোডাঙা থানার পুলিশ।  


কর্তব্যরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল কলকাতা পুলিশের এক সাব ইন্সপেক্টরের।  উল্টোডাঙা থানার সেকেন্ড অফিসার আফতাব আহমেদের অকাল মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পুলিশমহল।


পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গভীর রাতে, শিশু অপহরণের অভিযোগে আটক এক ব্যক্তিকে জেরা করছিলেন আফতাব। জেরায় অপরাধ স্বীকারও করে নেন অভিযুক্ত। 


আরও পড়ুন: কেশপুরের পর কলকাতা, ফের এর পুলিশকর্মীর রহস্যমৃত্যু, এবারও ব্যারাক থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ


অপহৃত শিশুকে কোথায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে, সেই প্রশ্নোত্তরপর্ব চলাকালীন হঠাতই গুরুতর অসুস্থ বোধ করেন মামলার তদন্তকারী অফিসার আফতাব আহমেদ। 


অসুস্থ অফিসারকে প্রথমে কিছুক্ষণ থানার পুলিশ ব্যারাকে শুইয়ে রাখা হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায়, দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাস লাগোয়া অ্যাপোলো হাসপাতালে। 


ভোর পৌনে পাঁচটা নাগাদ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। প্রয়াত পুলিশ অফিসারের মরদেহ বুধবার সকালে হাসপাতাল থেকে প্রথমে উল্টোডাঙা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানান সহকর্মীরা। তারপরে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ৩ ম্যাকলয়েড স্ট্রিটের বাড়িতে।


পুলিশ সূত্রে খবর, গত শুক্রবার বেলগাছিয়া এলাকা থেকে তিন বছরের এক শিশু নিখোঁজ হয়ে যায়। ওই ঘটনায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। 


আরও পড়ুন: হুগলিতে জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, পুলিশকর্মীর মৃত্যু, আহত চালকসহ ৩


মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন আফতাব আহমেদ। অপহরণের অভিযোগে মঙ্গলবার শিশুর এক আত্মীয়কে আটক করে পুলিশ। তাকে জেরার সময় ঘটে যায় অঘটন। পুলিশ সূত্রে খবর, নিখোঁজ শিশুর হদিশ মিলেছে। 


এর আগে, গতমাসে শেষের দিকে, ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় আরপিএফ-এর এক মহিলা কনস্টেবলের। তারাতলার কাছে কাজে যাওয়ার সময় মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ওই মহিলা কনস্টেবল লাইন ধরে হাঁটছিলেন। সেই সময় বজবজ থেকে শিয়ালদাগামী স্পেশাল ট্রেনের ধাক্কায় তিনি ছিটকে পড়েন। এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।