Dilip Ghosh: 'কমিশন সবাইকে খুশি করার চেষ্টা করেছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ভোট করা উচিত নয়' মন্তব্য দিলীপের
রাজ্যে যে হারে করোনা বাড়ছে, সেই আবহে পুরভোট (Municipal Election) পিছনো যায় কি না তা জানতে চেয়ে শুক্রবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে (State Election Commission) জানিয়েছিল হাইকোর্ট (Highcourt)।
কলকাতা: 'আমরা একমাস ভোট পিছোনোর কথা বলেছিলাম। কমিশন (State Election Commission) সবাইকে খুশি করার চেষ্টা করেছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ভোট করা উচিত নয়।' পুরভোট পিছোনো নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি জারি প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)।
রাজ্যে যে হারে করোনা বাড়ছে, সেই আবহে পুরভোট (Municipal Election) পিছনো যায় কি না তা জানতে চেয়ে শুক্রবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে (State Election Commission) জানিয়েছিল হাইকোর্ট (Highcourt)। সূত্রের খবর, রাজ্য সায় দেওয়ার পরই কমিশনের তরফে জানান হয়েছে যে করোনার কারণে ৩ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৪ পুরনিগমের ভোট। ২২ জানুয়ারির বদলে ১২ ফেব্রুয়ারি পুরভোট হবে। ১৫ ফেব্রুয়ারি হবে ভোটের ফলপ্রকাশ।
শুক্রবার, কলকাতা হাইকোর্টের তরফে বলা হয়, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে হবে কমিশনকে। লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মাথায় রাখতে হবে। এই সময়ে ভোট হলে তা কি মানুষের স্বার্থে হবে? সেই ভোট কি অবাধ ও সুষ্ঠু হবে? সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দুটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। ভোট পিছনোর ক্ষমতা আছে নির্বাচন কমিশনের’। তৃণমূলের কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায় বলেন, "আজ হাইকোর্টে সরকারের তরফে বলা হয়েছে যে ভোট পিছিয়ে দেওয়া হলে কোনও অসুবিধা নেই। এরপর রাজ্য নির্বাচন কমিশনও জানায় যে তিন সপ্তাহ পিছিয়ে যাচ্ছে। করোনা মুক্ত পরিবেশে ভোট হোক। স্বাগত জানাচ্ছি।"
এই সিদ্ধান্তকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Abhishek Banerjee)। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি টুইটে জানিয়েছেন, ‘করোনার বিরুদ্ধে লড়াই শক্তিশালী করা এই মুহূর্তের অগ্রাধিকার’।
তিনি বলেন, 'রাজ্যের সংক্রমণ হার ৩ শতাংশের নীচে নামাতে হবে। পরবর্তী ৩ সপ্তাহে রাজ্যের সংক্রমণ হার ৩ শতাংশের নীচে নামাতে হবে। আমাদের একসঙ্গে কাজ করে সংক্রমণ হার কমানো নিশ্চিত করতে হবে।"