BSF Jurisdiction: বিএসএফের এক্তিয়ার-বৃদ্ধির প্রতিবাদে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা
BSF Jurisdiction:কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এক আইনজীবী জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। ১৪ ডিসেম্বর জনস্বার্থ মামলার শুনানি।বিএসএফ আইনের ১৩৯ নম্বর ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কলকাতা: বিএসএফের (BSF) এক্তিয়ার-বৃদ্ধির প্রতিবাদে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court ) মামলা। বিএসএফের ডিজিকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ হাইকোর্টের। বিএসএফ আইনের ১৩৯ নম্বর ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আবেদনে বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদের পরিপন্থী বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এক আইনজীবী জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলার শুনানি।
উল্লেখ্য, বিএসএফের এক্তিয়ারবৃদ্ধি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরোধিতা করেছেন। গতকাল দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকেও বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির প্রসঙ্গ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকের পর তিনি এ কথা জানিয়ে বলেছিলেন, বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন।
এর আগে দিল্লি রওনা দেওয়ার আগে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন যে,’ বিএসএফ (BSF) আমার শত্রু নয়। বিজেপি (BJP) যেভাবে মনে করছে, বিএসএফ মানে বিজেপি সেফ! এটা ঠিক নয়’। দিল্লিযাত্রার আগে ফের এভাবে বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিষয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। এর আগে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছিলেন তিনি।
বিএসএফ-এর কর্মক্ষেত্রের পরিধি বাড়ানোর বিরোধিতায় প্রস্তাব পাশ হয়েছিল রাজ্য বিধানসভায়। সম্প্রতি মোদি সরকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে যে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ এর কর্মক্ষেত্রের পরিধি ৫০ কিলোমিটার করা হচ্ছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব এবং অসমে বিএসএফ এর কর্মক্ষেত্রের পরিধি ১৫ কিলোমিটার থেকে হয়েছে ৫০ কিলোমিটার। অন্যদিকে গুজরাতে তা ৮০ কিলোমিটার থেকে হয়েছে ৫০ কিলোমিটার। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় বিধানসভায় প্রস্তাব আনে ক্ষমতাসীন তৃণমূল।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে পঞ্চাবও। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছিলেন।