(Source: Poll of Polls)
West Bengal College Service Commission : আর কলেজের হাতে নয় শিক্ষাকর্মী নিয়োগ
West Bengal Colleges: সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত সমস্ত কলেজে নিয়োগে নিয়ম বদল। এতদিন কলেজে শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করত পরিচালন সমিতি। এবার কলেজ সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগের সিদ্ধান্ত উচ্চশিক্ষা দফতরের।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত সমস্ত কলেজে নিয়োগে নিয়ম বদল। আর সংশ্লিষ্ট কলেজ নয়, শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করবে কমিশন। কলেজ সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমেই শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করা হবে, এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর।
এতদিন কলেজে শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করত পরিচালন সমিতি। এবার কলেজ সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগের সিদ্ধান্ত উচ্চশিক্ষা দফতরের। স্বচ্ছতার জন্যই কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত, দাবি উচ্চশিক্ষা দফতরের।
এদিকে, প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক ও গ্রুপ ডি নিয়োগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য। স্কুলে গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগেই কলকাতা হাইকোর্টে তীব্র ভর্ৎসিত হয়েছে সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশন। গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ হাইকোর্টের। মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে বিতর্কিত চাকরিপ্রাপকদের তথ্য সংরক্ষণের নির্দেশ। আরও ৫০০ বিতর্কিত চাকরিপ্রাপককে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
২০১৬ সালের স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। সেইমতো প্যানেল তৈরি করে নিয়োগও হয়ে যায়। ২০১৯ সালের ৪ মে সেই প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এই প্রেক্ষাপটে মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে ২৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশপত্র দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। বুধবার আদালতে কমিশনের তরফে জানানো হয়, ২৫ জনের নিয়োগের সুপারিশপত্র ভুয়ো। প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আর কাউকে কমিশনের তরফে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়নি। কমিশনের এই বক্তব্যকে হলফনামা আকারে জমা দিতে বলে আদালত।
অন্যদিকে, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগের নিষ্পত্তির জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনকে গত নভেম্বরে আরও ৩ মাস সময় দেয় আদালত। ২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসএসসি। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে ওঠে অভিযোগের পাহাড়। মামলা গড়ায় আদালতে। গত জুলাই মাসে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, নিয়োগ বন্ধ রেখে তিন মাসের মধ্যে সমস্ত অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে হবে। এরপর নভেম্বরে এসএসসি-র পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, আরও সময় লাগবে। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আরও তিন মাস সময় দেয় আদালত।