- Home
-
খবর
-
ভারত
Corona Vaccine Drive Live Updates: আমফানের টাকার মত ভ্যাকসিন লুঠ করছে তৃণমূল, আক্রমণ কৈলাস বিজয়বর্গীয়র, কেন্দ্র ভ্যাকসিন দিয়ে দয়া করছে না, পাল্টা ফিরহাদ
Corona Vaccine Drive Live Updates: আমফানের টাকার মত ভ্যাকসিন লুঠ করছে তৃণমূল, আক্রমণ কৈলাস বিজয়বর্গীয়র, কেন্দ্র ভ্যাকসিন দিয়ে দয়া করছে না, পাল্টা ফিরহাদ
Nationwide Corona Vaccine Drive: বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকের কটাক্ষ, বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিচ্ছে কেন্দ্র। অথচ সবকিছুর মতো এক্ষেত্রেও তা নিজের নামে চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Last Updated:
17 Jan 2021 10:19 PM
স্বাস্থ্যকর্মী, করোনা যোদ্ধাদের টিকায় ভাগ বসানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শাসক দলের একের পর এক জনপ্রতিনিধির ভ্যাকসিন নেওয়ার ঘটনায় সেই প্রশ্নই তুলল বিরোধীরা। জনপ্রিতিনিধিদের টিকা নেওয়া সমর্থন না করলেও, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না পাঠানোর অভিযোগে অনড় তৃণমূল।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে যাদের করোনা ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা ছিল, তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। তৃণমূলের নেতা-বিধায়কদের টিকা নেওয়া নিয়ে আক্রমণ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর।
বিধায়কদের লাইনে দাঁড়িয়ে ভ্যাকসিন নেওয়ার ঘটনা লজ্জাজনক। কটাক্ষ বাবুল সুপ্রিয়র। বিধায়করা আগে ভ্যাকসিন নিয়ে ঠিক করেননি। মন্তব্য ফিরহাদ হাকিমের। একইসঙ্গে বিজেপিকে তাঁর কটাক্ষ, কেন্দ্র ভ্যাকসিন দিয়ে দয়া করছে না।
টিকা নিয়ে ফের বিতর্কে শাসক-বিধায়ক। ভাতার ও কাটোয়ার ২ বিধায়কের পর করণদিঘির বিধায়ক। বিতর্কে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির বিধায়ক মনোদেব সিংহ। সাধারণ মানুষ নয়, নিজেকে বাঁচাতে ব্যস্ত বিধায়ক, দাবি বিজেপি-র। ‘রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হওয়ায় টিকা নিয়েছি,’ দাবি করণদিঘির তৃণমূল বিধায়ক মনোদেব সিংহর।
চাল, কয়লার মতো ভ্যাকসিনও লুঠ হচ্ছে। চায়ে পে চর্চার মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের।
Corona Vaccine Drive: 'তৃণমূল ভ্যাকসিন চোর', আক্রমণ কৈলাস বিজয়বর্গীয়র
তৃণমূল ভ্যাকসিন চোর। দলের সাংগঠনিক বৈঠকের আগে এভাবেই রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকের কটাক্ষ, বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিচ্ছে কেন্দ্র। অথচ সবকিছুর মতো এক্ষেত্রেও তা নিজের নামে চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, বিধানসভা ভোটের আগে আজ রাজ্যে সাংগঠনিক বৈঠকে বসেছে বিজেপি। আইসিসিআর-এর এই বৈঠকে যোগ দেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় ছাড়াও যোগ দেন শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেনন, দিলীপ ঘোষ, শমীক ভট্টাচার্য, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
Corona Vaccine Drive: এবার ভ্যাকসিন-বিতর্কে ব্যারাকপুর পুরসভার প্রশাসক উত্তম দাস
ভ্যাকসিন-বিতর্কে এবার নাম জড়াল ব্যারাকপুর পুরসভার প্রশাসকের। গতকাল ব্যারাকপুর বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে করোনার টিকা নেন পুর প্রশাসক তথা তৃণমূল নেতা উত্তম দাস। এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। বিজেপির কটাক্ষ, স্বাস্থ্য কর্মীদের টিকাকরণ হওয়ার কথা। এক্ষেত্রেও ক্ষমতার অপব্যবহার করে টিকা নিচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। পুর প্রশাসকের দাবি, জন প্রতিনিধিদের থেকে অন্যরা শেখে, সেই কারণেই টিকা নেওয়া। তা ছাড়া তাঁর নাম তালিকায় ছিল বলে দাবি করেছেন ব্যারাকপুরের পুর প্রশাসক। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি কমিটিতে রয়েছেন উত্তম দাস। সেই হিসেবে তিনিও করোনা-যোদ্ধা। তাই টিকা নিয়েছেন।
Corona Vaccine Drive: স্থানান্তরের সময় করোনা রোগীর মৃত্যুতে ডেথ সার্টিফিকেট দেবে 'রেফার' করা হাসপাতাল, নির্দেশিকা রাজ্যের
করোনা রোগীর ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সঙ্কটজনক করোনা রোগীকে হাসপাতালে স্থানান্তরের সময় মৃত্যুর ক্ষেত্রে, যে হাসপাতাল রেফার করছে, তারাই ডেথ সার্টিফিকেট দেবে। এ নিয়ে রোগীর পরিবারকে হয়রান করা যাবে না। এছাড়া, ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য কোনও টাকাও নেওয়া যাবে না। এধরনের হয়রানির ঘটনা নজরে এসেছে। তাই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
Corona Vaccine Drive: 'কো-উইন' অ্যাপে সমস্যা, মহারাষ্ট্রে টিকাকরণ প্রক্রিয়া স্থগিত দুদিন
টিকাকরণ নথিভুক্তিকরণের জন্য প্রয়োজন 'কো-উইন' অ্যাপে সমস্যা। এর ফলে, মহারাষ্ট্রে দুদিনের জন্য স্থগিত হয়ে গেল টিকাকরণ প্রক্রিয়া। শনিবার এই কথা জানিয়েছে বৃহন্মুম্বই পুরসভা। এর ফলে, ওড়িশার পর মহারাষ্ট্র হল দেশের দ্বিতীয় রাজ্য যেখানে টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় ছেদ পড়ল। রবিবারই করোনা টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ভারতে, যাকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকাকরণ প্রক্রিয়া হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
Corona Vaccine Drive: টিকা গ্রহণকারীদের পর্যবেক্ষণের জন্য রবিবার প্রক্রিয়া-রদ ওড়িশায়
দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে করোনা টিকাকরণ প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় দিনেই সাময়িক ছেদ টানল ওড়িশা প্রশাসন। রাজ্যের অতিরিক্ত স্বাস্থ্যসচিব প্রদীপ্ত মহন্ত জানান, প্রথম দিন যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, আজ তাঁদের পর্যবেক্ষণ করতে চাইছি। দেখতে চাইছি, কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে কি না। সোমবার থেকে পুনরায় চালু হবে প্রক্রিয়া। রাজ্য়ে মোট ৩.২৮ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর টিকাকরণ হবে।
করোনা টিকা নিয়ে রাজ্যে ১৪ জনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া । ১৪ জনের মধ্যে ২ জন কলকাতার স্বাস্থ্যকর্মী, জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা ।
মুর্শিদাবাদের ৩ স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যেও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া । কলকাতায় এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি এক নার্স। অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন থেকেই অসুস্থতা বলে অনুমান,জানানো হল স্বাস্থ্যভবনের তরফে। রাজ্যে প্রথম দিন ভ্যাকসিন নিলেন ১৫ হাজার ৭০৭ জন। শুধুমাত্র ঝাড়গ্রামেই ১০০% স্বাস্থ্যকর্মী ভ্যাকসিন নিয়েছেন।
দেশে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৭১৪জনকে করোনার ভ্যাকসিন । রাজ্যে প্রথম দিন প্রায় ১৫ হাজার ৮৮৩জনের টিকাকরণ। কলকাতায় প্রথম দিনে ১ হাজার ৭৩৭জনকে ভ্যাকসিন। রাজ্য জুড়ে ২০৭টি কেন্দ্রে করোনার টিকাকরণ ।
করোনার টিকা নেওয়ার পরে অসুস্থ নার্স। বিসি রায় হাসপাতাল থেকে আনা হল এনআরএসে। টিকা নেওয়ার পরেই অচৈতন্য হয়ে পড়লেন নার্স।
এনআরএসের সিসিইউতে নার্সকে ভর্তি। টিকা থেকে অসুস্থতা কিনা, স্পষ্ট নয়: হাসপাতাল সূত্র
করোনা টিকাকরণ নিয়ে সমস্ত রাজ্যগুলির স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের। অভিযানের সফল সূচনার জন্য তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের অভিনন্দন জানান।
প্রথমদিনে এখনও পর্যন্ত সাড়ে ৮ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীর টিকাকরণ। রামপুরহাটে এক স্বাস্থ্যকর্মীর মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। ‘রাজ্যে প্রথমদিনের টিকাকরণ সার্বিক ভাবে সফল। অনেকের কুণ্ঠা রয়েছে, কিন্তু কুণ্ঠার কারণ নেই’ স্বাস্থ্যকর্মীরা এগিয়ে আসুন ভ্যাকসিন নিতে, আবেদন স্বাস্থ্য অধিকর্তার
ভারতের তৈরি কোভ্যাকসিনের বিদেশি বরাত। কোভ্যাকসিনের বরাত দিল মায়ানমার, দক্ষিণ আফ্রিকা। কোভ্যাকসিনের বরাত দিল ব্রাজিলও।৩ কোটি ভ্যাকসিনের বরাত দিয়েছে মায়ানমার।১৫ লক্ষ ভ্যাকসিনের বরাত দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।৫০ লক্ষ ভ্যাকসিনের বরাত দিয়েছে ব্রাজিল।
বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ তৃণমূলের বিধায়ককে করোনা টিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। বললেন, ‘রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য হয়েও বিধায়ককে ভ্যাকসিন। রোগী তো নন, তাহলে ভ্যাকসিন কেন? সব জায়গায় একই কাজ করছে তৃণমূল। কৃষক সম্মান নিধিতেও হয়ত তৃণমূল নেতাদের নাম পাঠাবেন। মুখ্যমন্ত্রীর ভ্যাকসিনে গঙ্গাজল থাকবে কিনা তার গ্যারান্টি কী আছে!‘কেন্দ্রীয় সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। হালকা কথা বলা উচিত নয়।’
‘প্রথম দফার টিকাকরণের দ্বিতীয় পর্যায় সোমবার। আগামী সপ্তাহে ৪দিন হবে টিকাকরণ।
সোম, মঙ্গল, শুক্র, শনিবার দেওয়া হবে টিকা’,খবর স্বাস্থ্যভবন সূত্রে
‘রাজ্যে প্রয়োজনের তুলনায় এসেছে কম ভ্যাকসিন। প্রয়োজনের তুলনায় কম ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে কেন্দ্র’। করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর।
তিনি বলেছেন, ‘রাজ্যের সবাইকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেব।প্রয়োজনে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছ থেকে কিনব’। করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে নবান্নে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। টিকা-প্রাপকদের স্বাস্থ্যে নজর রাখার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। মুখ্যসচিব, স্বাস্থ্য সচিব, জেলা শাসকদের সঙ্গে বৈঠক। ২১২টি কেন্দ্রের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক।
আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল বিধায়কের নাম টিকা প্রাপকদের তালিকায় ওঠা নিয়ে মুখ খুললেন তাপস রায়। উনি তো বলেছেন টিকা নেবেন না। ভুল করে ওঠা নাম নিয়ে বিতর্ক কেন? প্রশ্ন তাপস রায়ের।
করোনার ভ্যাকসিন নিলেন কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক। এদিন কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে টিকা নেন চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। এরপর হাসপাতালে আসেন কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা পুর প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনিও টিকা নেন। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তালিকায় নাম থাকায় টিকা নিয়েছেন, দাবি তৃণমূল বিধায়কের। এক্ষেত্রে কোভিড-বিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিক্রিয়া মেলেনি তৃণমূল নেতৃত্বের। এদিন ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে করোনার টিকা নেন ভাতারের তৃণমূল বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল ও প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা। দুজনেই হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য, সেই কারণেই টিকা নিয়েছেন, জানিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।
চিকিৎসক দীপেন্দ্র সরকার বলেন, 'পৃথিবীর ইতিহাসে গত ১০০ বা ২০০ বছরের মধ্যে দুটি বিশ্বযুদ্ধের পরে এটা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ! যেখানে মানব সভ্যতা একটি অদৃশ্য ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছে। আজকে ভ্যাকসিনের মাধ্যমে ভাইরাসের বিরুদ্ধে যে ঘোষিত যুদ্ধ শুরু হল, সেটিকে একজন চিকিৎসক ও বৈজ্ঞানিক হিসেবে স্বাগত জানাই। আমি নিশ্চিত সকলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহযোগীতা করবে এই লড়াইয়ে জেতার জন্য। বারে বারে সবাইকে অনুরোধ করব ভ্যাকসিন নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা ছড়াবেন না।'
মোদির দাবি, ইতিহাসে এত বড় টিকাকরণ কর্মসূচি আগে হয়নি। টিকা নিয়েও মাস্ক-দূরত্ববিধি সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভ্যাকসিন নিরাপদ কিনা, তা নিয়ে গুজবে কান না দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ল্যাব তৈরির ক্ষেত্রে ভারত আত্মনির্ভরতার পরিচয় দিয়েছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।
হাওড়ার ৮টি কেন্দ্রে শুরু হল করোনার টিকাকরণ। এই পর্যায়ে প্রতি কেন্দ্রে ১০০ জন করে জেলার ৮০০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। মোট ৫২টি কোল্ড চেন তৈরি করা হয়েছে। জেলায় আনা হয়েছে মোট ১৪ হাজার কোভিশিল্ড। হাওড়া হাসপাতাল ছাড়াও উলুবেড়িয়া হাসপাতাল, শ্যামপুর, বাগনান, পাঁচলা সহ বিভিন্ন জায়গায় হাসপাতাল এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বলেন, 'এইটাই সম্ভবত বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় টিকাকরণ। এই ইস্যুগুলি পরিচালনা করার ক্ষেত্রে ভারতের বিরাট অভিজ্ঞতা রয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা পোলিও এবং গুটি বসন্ত নির্মূল করেছি। এটাই সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকাকরণ অভিযান।'
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টিকাকরণের শুভ সূচনা করার পরই কলকাতার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে শুরু হয়েছে টিকাকরণ। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে শুরু প্রক্রিয়া। জেলার হাসপাতালগুলিতেও শুরু হয়েছে ভ্যাকসিনেশনের কাজ। ভ্যাকসিনেশনের কাজ হচ্ছে পিয়ারলেস হাসপাতালে। করোনা টিকা নিচ্ছেন চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীরা। অন্যদিকে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ও চেতলা হাসপাতালেও চলছে ভ্যাকসিনেশনের কাজ। এখনও পর্যন্ত যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাঁরা মোটের উপর ভালোই আছেন।
কোচবিহার এম জে এন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সকাল থেকে উৎসবের মেজাজ। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে টিকাকরণের কাজ। বেশ কয়েকজন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা আজ টিকা নেবেন। জেলার ৯টি কেন্দ্রে চলছে টিকাকরণের কাজ। অন্যদিকে বারাসাত, মালদা, রামপুরহাট, সিউড়িতেও চলছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। প্রতিটি সেন্টারেই ধাপে ধাপে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টিকাকরণের শুভ সূচনা করার পরই কলকাতার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে শুরু হয়েছে টিকাকরণ। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে শুরু প্রক্রিয়া। জেলার হাসপাতালগুলিতেও শুরু হয়েছে ভ্যাকসিনেশনের কাজ। একটি শিশি থেকে মোট ১০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসক সোমা লাহা একদিনও ছুটি নেননি করোনাকালে, তাঁকে দেওয়া হল প্রথম করোনা ভ্যাকসিন। করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। শুধু সেই সময় ছুটিতে থাকার পর আবার ডিউটিতে বেরিয়ে পড়েন। এর আগে করোনার টিকা নিয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
পিয়ারলেস হাসপাতালে চলছে ভ্যাকসিনেশন। টিকা নেওয়ার আগে একটি রুমে অপেক্ষা। তারপর নথি পরীক্ষা। তারপর ভ্যাকসিন নিয়ে আধঘণ্টা অপেক্ষা করার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না হলে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
নিজে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ নিয়েছেন। একদম সুস্থ তিনি। তাই এবার সকলকে সাহস জোগাতে আজ করোনা টিকাদান কেন্দ্রে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, প্রথম পর্বে,
প্রথম দফায় যে ৩ কোটি করোনা যোদ্ধাকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, তার পুরো খরচ বহন করবে কেন্দ্র।
টিকাকরণের পর প্রত্যেককে দেওয়া হবে ডিজিটাল ভ্যাকসিনেশন কার্ড
এরপর আরও ২৭ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে।
দুর্গাপুরে আজ ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ৫ জন ভ্যাকসিন পেয়েছেন ইতিমধ্যেই। কারও কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই, জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
আশার আলো জাগিয়ে দেশজুড়ে শুরু হল করোনার টিকাকরণ। সকাল সাড়ে দশটার সময় বিশ্বের বৃহত্তম করোনা টিকাকরণ অভিযানের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথম দফায় টিকা দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মী-সহ প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের।
টিকা নিয়েও মাস্ক-দূরত্ববিধি সতর্কতা মেনে চলুন । ভ্যাকসিনের সময়ে করোনার সময়ের মতো ধৈর্য্য রাখুন। ইতিহাসে এত বড় টিকাকরণ কর্মসূচি আগে হয়নি। বিশ্বের শতাধিক দেশ আছে, যেখানে জনসংখ্যা ৩ কোটির কম।: Narendra Modi
‘টিকা নিয়েও মাস্ক-দূরত্ববিধি সতর্কতা মেনে চলুন । ভ্যাকসিনের সময়ে করোনার সময়ের মতো ধৈর্য্য রাখুন। ইতিহাসে এত বড় টিকাকরণ কর্মসূচি আগে হয়নি। বিশ্বের শতাধিক দেশ আছে, যেখানে জনসংখ্যা ৩ কোটির কম।
দ্বিতীয় ধাপে ভ্যাকসিন প্রাপকদের সংখ্যা ৩০ কোটিতে নিয়ে যাব’: Modi
এক ঝলকে দেখুন উদ্বোধনে কী বার্তা দিলেন মোদি
'আজকের দিনের জন্যই অপেক্ষা ছিল দেশবাসীর’
‘করোনার ভ্যাকসিন কবে আসবে, প্রশ্ন ছিল এটাই’
‘কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিশ্বের সর্ববৃহত্ টিকাকরণের সূচনা’
‘বৈজ্ঞানিকদের ভ্যাকসিনের জন্য প্রশংসা প্রাপ্য’
‘ওঁরা দিন-রাত এক করে কাজ করেছেন’
‘ভ্যাকসিন তৈরি হতে অনেক সময় লাগে’
‘এক্ষেত্রে খুব কম সময়ে জোড়া ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে’
আজ থেকে দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে করোনার টিকাকরণ। এ যেন অন্ধকার কাটিয়ে আলোর দিশা খুঁজে পাওয়া। টিকাকরণ অভিযান উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছে হায়দরাবাদের একটি ভ্যাকসিন কেন্দ্র। ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে গেট। বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছে ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্রটিকে।
টিকাকরণের পর প্রত্যেককে দেওয়া হবে ডিজিটাল ভ্যাকসিনেশন কার্ড। এরপর আরও ২৭ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে।
আমাদের রাজ্যের ২১২টি ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে প্রথম দফার টিকাকরণ শুরু হবে। তার মধ্যে কলকাতায় রয়েছে ১৯টি। প্রত্যেক কেন্দ্রে প্রতিদিন ১০০ জনকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি, কলকাতা পুরসভার ৫টি বরোতেও আজ ভ্যাকসিনেশন হবে। স্বাস্থ্য দফতরের ছাড়পত্র মিললে এরপর প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে টিকাকরণ চালু করবে পুরসভা।
কলকাতার পাশাপাশি, আজ থেকে জেলাতেও শুরু হচ্ছে
করোনার টিকাকরণ।
প্রেক্ষাপট
কলকাতা: শনিবার সকাল ৯টা থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে করোনার বিরুদ্ধে নতুন যুদ্ধ! স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সারা রাজ্যে মোটা ২১২টি ভ্যাকসিনেশন সেন্টার করা হয়েছে।
তার মধ্যে কলকাতায় রয়েছে ১৯টি। প্রতি কেন্দ্রে প্রতিদিন ১০০ জনকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ধারাবাহিক ভাবে চলবে অভিযান।
শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় পুরসভার বালিগঞ্জ স্টোর থেকে কোভিশিল্ড নিয়ে রওনা দেয় ভ্যাকসিনের গাড়ি। প্রথমে গড়িয়া ও গড়ফার বরো অফিসে পৌঁছনো হয় টিকা। সেখান থেকে ভ্যাকসিন যায় এম আর বাঙুর ও কমান্ড হাসপাতাল ও খিদিরপুরের বোরো অফিসে। খিদিরপুর থেকে উত্তর কলকাতার বরো অফিসে পৌঁছয় ভ্যাকসিন ভ্যান।
এরপর বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল হয়ে বিসি রায় শিশু হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয় কোভিশিল্ড।
বৃহস্পতিবারের পাশাপাশি, শুক্রবারও কলকাতার বেশ কিছু সরকারি হাসপাতাল ও পুরসভার বরো অফিসে পৌঁছে দেওয়া হয় ভ্যাকসিন। এদিন কোভিশিল্ড পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ৫টি বেসরকারি হাসপাতালেও।
১. অ্যাপোলো গ্লেনগলস্
২. টাটা মেডিক্যাল সেন্টার
৩. ঢাকুরিয়া আমরি
৪. আর এন টেগোর হাসপাতাল
৫. পিয়ালসেস হাসপাতাল
২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর বিধ্বংসী আগুনে ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালের একটি ভবন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নব্বই জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ন’বছর পর, করোনা ভ্যাকসিনেশনের মধ্যে দিয়ে শনিবার ফের চালু হচ্ছে ওই ভবন।
সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলির পাশাপপাশি, তৈরি পুরসভার বরো অফিসগুলিও। পুরসভার কোল্ডচেন পয়েন্টে রাখা হয়েছে করোনার টিকা।
পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এদিন জানান, 'কাল থেকে শুরু হচ্ছে। আমরা উতসবের মতো পালন করব। আপাতত পাঁচটা বরোতে হবে। পরে অন্য বরোতেও হবে।'
দেশ জুড়ে কোউইন অ্যাপে ভ্যাকসিন প্রাপকদের নাম নথিভুক্ত করা হচ্ছে। সম্ভবত সেকারণেই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। তাই ভ্যাকসিন প্রাপকদের এসএমএস ও হোয়াটসঅ্যাপ করে অবহিত করা হয়েছে।
ধুরন্ধর ভাইরাস ভার্সেস মোস্ট ওয়ান্টেড ভ্যাকসিন। যুদ্ধ শুরু হতে আর বেশি বাকি নেই।