Farmers Chakka Jam Live Updates: জম্মুৃ-পাঠানকোট হাইওয়ের পর চাক্কা জ্যাম কৃষকদের
দিল্লিতে জ্যাম হবে না, রাজধানী প্রবেশের সব দরজা খোলা থাকবে। তবে যে সব জায়গায় কৃষক বিক্ষোভ চলছে, বন্ধ থাকবে সেই সব জায়গা।
LIVE
Background
নয়াদিল্লি: কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত কৃষকরা আজ দেশ জুড়ে চাক্কা জ্যাম করতে চলেছেন। বেলা ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত গোটা দেশে চাক্কা জ্যাম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। তবে কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত জানিয়েছেন, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি নেওয়া হবে না। যদিও উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে ১ লাখ কৃষক স্ট্যান্ড বাই রয়েছেন।
রাকেশ টিকাইত জানিয়েছেন, উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে কৃষকরা রাস্তায়জ্যাম করবেন না। আন্দোলনে সাহায্য করতে উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে এক লাখ কৃষককে ব্যাক আপে রাখা হয়েছে। এই কৃষকরা নিজের নিজের তহসিল ও জেলা সদরে গিয়ে আধিকারিকদের স্মারকলিপি দেবেন। তাতে তিন কৃষি আইন প্রত্যহার ও এমএসপি-র ওপর আইন প্রণয়নের দাবি করা হবে। কিষাণ মোর্চা বলেছে, দিল্লিতে চাক্কা জ্যাম হবে না কারণ এখানকার সব জায়গাই আগে থেকে চাক্কা জ্যামের মোডে রয়েছে। দিল্লিতে জ্যাম হবে না, রাজধানী প্রবেশের সব দরজা খোলা থাকবে। তবে যে সব জায়গায় কৃষক বিক্ষোভ চলছে, বন্ধ থাকবে সেই সব জায়গা।
২৬ জানুয়ারির লাল কেল্লা তাণ্ডব মাথায় রেখে সীমানা জুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে দিল্লি পুলিশ, যাতে বিক্ষোভকারীরা কোনওমতেই না দিল্লি ঢুকতে পারেন। বিক্ষোভকারীরাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, প্রদর্শন শান্তিপূর্ণভাবে চলবে, কোনও সাধারণ নাগরিক বা সরকারি কর্মীকে কোনও মতেই উত্যক্ত করা হবে না।
জম্মুর কৃষকরা জ্যাম করলেন জম্মু-পাঠানকোট হাইওয়ে। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি করেছেন তাঁরা। পঞ্জাবের কর্নালে কৃষকরা বেলা ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় সড়কের ওপর বলতাড়া টোল জ্যাম করে দিয়েছেন। এভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলছে চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, কোনও জায়গা থেকে কোনও অশান্তির খবর আসেনি।
২৬ জানুয়ারির তাণ্ডবের জন্য পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহকে দায়ী করলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত সিংহ বাদল। তাঁর অভিযোগ, অমরিন্দর দিল্লি সীমানায় গিয়ে কৃষকদের পরিস্থিতি একবারও জানতে চাননি। তাঁর অপদার্থতার জন্যই এত কিছু ঘটেছে।
গাজিয়াবাদের লোনি সীমানায় ড্রোন উড়িয়ে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লি পুলিশ, আধা সেনা ও রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের প্রায় ৫০ হাজার জওয়ান জিল্লি-এনসিআর এলাকায় মোতায়েন রয়েছেন।