নয়াদিল্লি: নাসিরুদ্দিন শাহ, আমির খান, নভজ্যোত সিংহ সিধুকে রাজপুরের রাজা জয়চাঁদ, বাংলার নবাব মিরজাফরের পাশে বসিয়ে ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যা দিলেন আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমার। ভারতের আজমল কসাবের মতো ছেলে নয়, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের আদর্শে অনুপ্রাণিত মুসলিম যুবকদের প্রয়োজন বলে অভিমত জানিয়েছেন তিনি। আলিগড়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি তিনি বলেছেন, কসাব, ইয়াকুব মেনন, ইশরাত জাহানের মতো ছেলেমেয়েদের দরকার নেই, চাই কালামের দেখানো পথে চলা মুসলিম যুবকদের। কসাবের রাস্তায় যারা যায়, তাদের সন্ত্রাসবাদীই বলতে হবে। ওঁরা (নাসিরুদ্দিন শাহ, আমির খান, নভজ্যোত সিংহ সিধু) ভাল অভিনেতা হতে পারেন, কিন্তু মীর জাফর, জয়চাঁদের মতো বিশ্বাসঘাতক হওয়ায় মানুষের শ্রদ্ধা, সম্মানের উপযুক্ত নন।
অযোধ্যা মামলার শুনানির বিলম্বের জন্য কংগ্রেস, বাম, সাম্প্রদায়িক ধর্মীয় শক্তি, কিছু বিচারপতি দায়ী বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, রামমন্দির নির্মাণে দেরি হওয়ায় প্রথম দোষী কংগ্রেস, দ্বিতীয় দোষী বাম দলগুলি, তৃতীয়ত ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলি। চার নম্বর দোষী কতিপয় বিচারপতি যাঁরা ন্যয়বিচার দিতে দেরি করছেন। সাধুসন্তদের কংগ্রেস, বাম দলগুলির দপ্তরে, বিষয়টি দেরি করিয়ে দেওয়া বিচারপতিদের বাড়ির বাইরে অবস্থানে বসতে আবেদন করব। প্রসঙ্গত, অযোধ্যা জমি মালিকানা মামলার শুনানির আজকের নির্ধারিত শুনানি সুপ্রিম কোর্ট স্থগিত রেখেছে ৫ বিচারপতির সংবিধান বেঞ্চের এক বিচারপতি এস এ বোবদে ছুটিতে থাকায়।
নাসিরুদ্দিন সম্প্রতি এর আগেও সঙ্ঘের নিশানা হয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে মারমুখী জনতার হিংসায় পুলিশ ইনস্পেক্টর সুবোধ কুমার সিংহের হত্যাকাণ্ডের পর ভারতে পুলিশ অফিসারের মৃত্যুর চেয়ে গরুর মূল্য বেশি বলে কটাক্ষ করায় তাঁকে বিশ্বাসঘাতক বলে আক্রমণ করে বিজেপি, আরএসএস।
উত্তরপ্রদেশ বিজেপির প্রধান মহেন্দ্রনাথ পান্ডে বলেন, উনি নিজের অভিনীত একটি ছবিতে পাকিস্তানি এজেন্টের ভূমিকায় ছিলেন। মনে হচ্ছে, বাস্তবে নিজেই সেই চরিত্র হয়ে উঠছেন তিনি। পান্ডে ১৯৯৯ এর ছবি ‘সরফরোশ’-কে ইঙ্গিত করেন যাতে নাসিরুদ্দিন গায়কের আড়ালে পাক এজেন্টের চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ প্রশংসা পান।