প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত দুর্নীতির প্রমাণ আছে, মোদী ভয় পেয়ে তাঁকে সংসদে মুখ খুলতে দিচ্ছেন না, অভিযোগ রাহুলের

নয়াদিল্লি:  বুধবার সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্যে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী। রাহুলের দাবি, তাঁর কাছে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত দুর্নীতির প্রমাণ আছে। সংসদে তিনি বলতে চাইছেন। কিন্তু তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে মুখ খুলতে দেওয়া হচ্ছে না। বেলুন চুপসে যাওয়ার ভয়ে ঘাবড়ে গেছেন মোদী, অভিযোগ রাহুলের। এরপর অবশ্য কংগ্রেস সহ সভাপতিকে পাল্টা আক্রমণ করে বিজেপি বলে, রাহুল এধরনের মন্তব্য করে নিজেকেই সকলের সামনে হাস্যকর করছেন। ওঁর মন্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই, মত ভেঙ্কাইয়া নাইডুর। প্রসঙ্গত, আজ রাহুল দাবি করেন, তাঁর কাছে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত দুর্নীতি সম্পর্কে বিস্ফোরক তথ্য রয়েছে। যা একবার ফাঁস করে দিলে তাঁর বেলুন আদপে চুপসে যাবে। তিনি আরও দাবি করেন, নোট বাতিল ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী সংসদে জবাব দিতে বাধ্য। সেখান থেকে তিনি পালাতে পারেন না। আমজনতার কাছে তিনি উত্তর দিতে বাধ্য। সংসদ চত্বরে সাংবাদিকদের সামনে আজ চাঁচাছোলা ভাষায় এভাবেই প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন রাহুল। আজ তাঁর সঙ্গে সংসদ চত্বরে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলের ১৬ জন নেতাও। রাহুল সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখার সময় বলেন, তাঁর কাছে যে তথ্য রয়েছে, তিনি সেটা সংসদে সকলের সামনে বলতে চান। সংসদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে বলতে দিতে হবে, দাবি রাহুলের। এরপরই বিজেপি তাঁকে পাল্টা আক্রমণ করে। আজ শীতকালীন অধিবেশন শুরুর সঙ্গে সঙ্গে নোটকাণ্ডে সরকার-বিরোধী তরজায় ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদ। আজ লোকসভায় অধিবেশনের শুরুতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর ভাইয়ের সংস্থার বিরুদ্ধে ৪৫০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির অভিযোগে সরব হন বিরোধীরা। নোট বাতিলের জেরে সাধারণ মানুষের হয়রানির কথাও উল্লেখ করেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সনিয়া গাঁধী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ও রাহুলের উপস্থিতিতেই শুরু হয়ে যায় তুমুল হৈ-হট্টগোল। আজকের মতো অধিবেশন মুলতুবি করে দেন অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজন। গত ১৬ নভেম্বর শুরু হয়েছিল সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। আগামী শুক্রবার সংসদে শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিন।