Odisha News : ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে টাকার পাহাড় ! আধিকারিকরা তল্লাশিতে যেতেই ফ্ল্যাটের জানালা দিয়ে নোটের বান্ডিল ছোড়া শুরু
Scam News: ভিজিল্যান্স দফতরের আধিকারিকরা অঙ্গুল, ভুবনেশ্বর ও পুরীর পিপিলি-সহ ওড়িশার মোট সাত জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ২.১ কোটি টাকা নগর উদ্ধার করেছেন।

ভুবনেশ্বর : এ যেন বলিউডের কোনো চিত্রনাট্য । নিজের অ্যাপার্টমেন্টের জানালা দিয়ে ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল ছুঁড়ছিলেন এক ব্যক্তি। ওড়িশার ভুবনেশ্বরের ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। ওই ব্যক্তি ওড়িশার সরকারি কর্মচারী বৈকুণ্ঠ নাথ সারঙ্গি। তিনি রাজ্য গ্রামীণ উন্নয়ন দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার। দুর্নীতি ও আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর কাছ থেকে ২ কোটির বেশি নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
ভিজিল্যান্স দফতরের আধিকারিকরা অঙ্গুল, ভুবনেশ্বর ও পুরীর পিপিলি-সহ ওড়িশার মোট সাত জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ২.১ কোটি টাকা নগর উদ্ধার করেছেন। নাটকীয় মোড় নেয় তল্লাশি অভিযান। ভিজিল্যান্স আধিকারিকরা যখন অভিযুক্ত চিফ ইঞ্জিনিয়ারের ফ্ল্যাটে পৌঁছান, তখন তিনি জানালা দিয়ে নোটের বান্ডিল ছুঁড়ে ফেলার চেষ্টা করছিলেন। পরে অবশ্য প্রত্যক্ষদর্শীদের উপস্থিতিতে বান্ডিলগুলি উদ্ধার করা হয়।
সারঙ্গি-র অঙ্গুলের বাড়ি থেকেই ১.১ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। আরও এক কোটি টাকা মেলে ভুবনেশ্বরের ফ্ল্যাটে। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি রয়েছে ওই চিফ ইঞ্জিনিয়ারের, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। আটজন DSP, ১২ জন ইন্সপেক্টর, ৬ জন সাব-ইন্সপেক্টর-সহ ২৬ জন পুলিশ আধিকারিক এবং অন্যান্য কর্মীরা তল্লাশিতে যোগ দেন। তল্লাশির সময়ের ভিডিও সামনে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, নোটের বান্ডিলের স্তূপ। তা গুনছেন আধিকারিকরা। অধিকাংশই ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল, এছাড়াও কিছু ২০০, ১০০ ও ৫০ টাকার নোটের বান্ডিল।
এর আগে বাংলায়ও টাকার পাহাড়ের ছবি দেখা গেছে। এসএসসি দুর্নীতি তদন্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিপুল সম্পত্তির হদিশ মেলে। টালিগঞ্জে ডায়মন্ড সিটি সাউথের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থেকে ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। পরে বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ২৮ কোটি টাকা। খোঁজ মেলে আরও একাধিক ফ্ল্যাটের। বাজেয়াপ্ত করা হয় লক্ষ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার গয়না ও প্রায় বহু মূল্যের বিদেশি মুদ্রা। কলকাতা ও শহরতলি এলাকায় অর্পিতার অনেক ফ্ল্যাটের হদিশ মেলে। জমি-বাড়ির দলিল বাজেয়াপ্ত করেন ইডি-র আধিকারিকরা। বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় তাল তাল সোনা। সব মিলিয়ে যার ওজন ৬ কেজি। যার বাজারমূল্য ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা। অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে মেলে ১ কেজি ওজনের ৩টি সোনার বাট ও ৬টি সোনার কঙ্কন। যার একেকটির ওজনই ৫০০ গ্রাম। এছাড়াও, প্রচুর সোনার গয়না ও একটি সোনার কলমও অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় বলে দাবি করা হয় ইডি সূত্রে।























