Bengal SIR Row: এক পা নিয়েই, বাড়ি বাড়ি ঘুরে SIR-এর ৯৯ শতাংশ কাজ সেরে ফেলেছেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের BLO ! 'কষ্ট হয়, কিন্তু মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে আমাকে..'
Bankura Physically Challenged BLO Completed 99 SIR Percent Work: BLO-মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে তোলপাড়ের মধ্যেই নিঃসন্দেহে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন শোভানারা বায়েন, কী বললেন তিনি ?

বাঁকুড়া: কথায় বলে, ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। সেই প্রবাদই আরও একবার প্রমাণ করলেন বাঁকুড়ার এক BLO। জন্মের থেকে এক পা নেই, বিশেষভাবে সক্ষম আইসিডিএস কর্মী শোভানারা বায়েন। কিন্তু এক পা নিয়েই, বাড়ি বাড়ি ঘুরে SIR-এর ৯৯ শতাংশ কাজ সেরে ফেলেছেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের জামশুলির BLO। এসআইআর চাপে পরপর BLO-মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে তোলপাড়ের মধ্যেই নিঃসন্দেহে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন শোভানারা বায়েন।

প্রশ্ন : কীভাবে প্রতিবন্দকতাকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে চলেছেন ?
বিশেষভাবে সক্ষম শোভানারা বায়েন : সর্বপ্রথম এটা হচ্ছে কমিশনের নির্দেশ। এটা আমাদেরকে মানতে হবে। যথাযথভাবে পালন করতে হবে। যতই প্রতিবন্ধকতা থাকুক না কেন, সেটাকে এড়িয়ে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। আমার শারীরিক প্রবলেম আছে। কিন্তু ওনাদের নির্দেশ আমাকে মানতেই হবে। সকলকেই মানতে হবে।
প্রশ্ন : SIR এর কতটা কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে ?
বিশেষভাবে সক্ষম শোভানারা বায়েন : আমার ৯৯ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।
প্রশ্ন : প্রতিবন্দকতা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে বাড়ি বাড়ি ঘুরে এই কাজ করছেন ?
বিশেষভাবে সক্ষম শোভানারা বায়েন : কষ্ট হয়, কিন্তু তবুও তো আমাকে এগিয়ে যেতে হবে। মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে আমাকে।..সেন্টার সেরে বাড়িতে যাই। খাওয়া দাওয়া করে বেরিয়ে পড়ি ফিল্ডে। ফিল্ডের কাজ চারটে পর্যন্ত। তারপরে বাড়ি এসে, চান করে খেয়ে দেয়ে, আবার আপলোড করতে হয়।

তাঁর এমন কাজে অত্য়ন্ত খুশি স্থানীয়রা
তাঁর বুথের প্রত্য়েক ভোটারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম দেওয়া, নেওয়া থেকে ডিজিটাইজেশন, সব কাজই তাঁর প্রায় শেষের দিকে। তাঁর এমন কাজে অত্য়ন্ত খুশি স্থানীয়রা। বিষ্ণুপুর জামশুলি গ্রামের বাসিন্দা ইউসুফ শেখ বলেন,'BLO যে কাজটা করছে খুবই ভাল কাজ করছে। ও তো আর স্বাভাবিকভাবে যেতে পারছে না। সে প্রত্য়েকটা বাড়িতে যায় একটা পায়ে।'
উনি নিজে থেকেই এই কাজ আগ্রহ দেখিয়ে করেছেন, যা সত্য়িই প্রশংসনীয় : বিষ্ণুপুরের SDO
বিষ্ণুপুরের SDO জানিয়েছেন,'ওই বুথের মোট ১০৩৯ জন ভোটারের মধ্য়ে ১০১৯জন ভোটারের জিজিটাইজশন হয়ে গেছে। ওনার শারীরিক অবস্থা দেখে আমরা হয়তো ওনাকে কাজ থেকে অব্য়াহতি দিতে রাজি হতাম, কিন্তু উনি নিজে থেকেই এই কাজ আগ্রহ দেখিয়ে করেছেন, যা সত্য়িই প্রশংসনীয়।'






















